যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য 'এক নম্বর' হওয়া
গত যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার আরও বড় লক্ষ্য সাইফ হাসানদের। বিশ্বকাপের প্রতিটি ধাপ উৎরে সেরা হতে চায় তারা।
সোমবার মধ্যরাতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগেরবারের সেমিফাইনাল খেলাই ছিল যুবাদের আসরে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। সেই দলে ছিলেন সাইফ হাসান। এবার তিনিই অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবেই সেই ফল পেরিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তার, ‘অবশ্যই লক্ষ্যটা থাকবে এক নম্বর হওয়ার। কিন্তু ধাপে ধাপে যাব, ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলব। ওখানে প্রথম রাউন্ড খেলে যদি উঠতে পারি তবে কোয়ার্টার ফাইনাল আছে, ওভাবে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।’
আগের বিশ্বকাপ ছিল ঘরের মাঠে। কন্ডিশন আর দর্শক ছিল পক্ষে। এবার খেলতে হবে বিরূপ কন্ডিশনে।
‘ওখানে কন্ডিশনটা আমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন হবে। তবে আমাদের প্রস্তুতি ভাল ছিল। গত এশিয়া কাপে খুব ভালো ক্যামব্যাক করেছি। সামনে আমাদের প্রস্তুতি আছে ১২ দিনের, তিনটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। তা থেকে ভালোটা নেওয়ার চেষ্টা করব।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনেকেই গত দুই বছর থেকে একসাথেই খেলছেন। তাতে গড়ে উঠেছে সমন্বয়। আর এটাই দলের মূল শক্তির জায়গা বলে মনে করেন অধিনায়ক, ‘আমরা এই ব্যাচটা অনেকদিন একসাথে আছি। আমাদের কমিউনিকেশন ও কম্বিনেশন খুব ভালো। ওটাই আমাদের শক্তি। ’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে নামিবিয়া, কানাডা আর ইংল্যান্ড। তবে অধিনায়কের মতে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সব দলই সমান শক্তি দেখাতে সক্ষম, ‘আসলে আন্ডার নাইনটিন লেভেলে যেকোনো দল জেতার সামর্থ্য রাখে। শেষ এশিয়া কাপে দেখেছেন নেপাল ইন্ডিয়াকে হারিয়েছ, ইন্ডিয়া বাদ পড়েছে। তো কাউকেই ছোট করব না।’
২৭ ডিসেম্বর ডানেডিনে পৌঁছাবে যুবদল। সেখানেই ইউনিভার্সিটি ওভালের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সাইফরা। টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও আছে দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারি। নামিবিয়ার বিপক্ষে নামবে জুনিয়র টাইগাররা। ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ কানাডা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ যুবদল।
Comments