‘পেসাররা যেন নিজেদের সম্পদ ভাবে’

আশি-নব্বুইয়ের দশকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা পেসার ছিলেন গোলাম নওশের প্রিন্স। খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে। বর্তমানে প্রবাসী প্রিন্স সম্প্রতি এসেছেন দেশে, বৃহস্পতিবার এলেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে
Gholam Nowsher Prince
গোলাম নওশের প্রিন্স, ছবি : একুশ তাপাদার

মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে মিরপুর একাডেমি মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন গোলাম নওশের প্রিন্স। কাছেই তখন নিজেদের ঝালাইয়ে ব্যস্ত মোস্তাফিজ, তাসকিনরা। খালেদ মাহমুদের অনুরোধে প্রিন্সও গেলেন সেখানে। পেসারদের নিয়ে প্রিন্সের ক্লাস চলল বেশকিছুক্ষণ।

আশি-নব্বুইয়ের দশকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা পেসার ছিলেন গোলাম নওশের প্রিন্স। খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে। বর্তমানে প্রবাসী প্রিন্স সম্প্রতি এসেছেন দেশে, বৃহস্পতিবার এলেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। মোস্তাফিজ, তাসকিনদের দিলেন টোটকা। অনেকদিন পর করলেন বোলিংও।

‘বিশ্বাস করেন মনে হল যে আমার সেই পুরনো দিনের কথা, ক্রিকেটারদের সাথে গল্প করছি। মজা করছি। আামি তাদের সঙ্গে সময়টা বেশ উপভোগ করেছি। ভালো দিক হলো তারাও খুব মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনেছে। আশা করবো ওখান থেকে ভাল জিনিসগুলো ওরা নেবে। আমি তো আর কোচ না। সারাজীবন কষ্ট করে ক্রিকেট শিখেছি। যেটা আমি জানি সেটা আমি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

মোস্তাফিজের আগ পর্যন্ত  অনেকের মতে প্রিন্সই এ পর্যন্ত দেশের সেরা বাঁহাতি পেসার। মোস্তাফিজকেই তাই দিলেন আলাদা তালিম। কাটারে ওস্তাদ মোস্তাফিজ বল ইনস্যুয়িং করানোর কৌশল এখনো আয়ত্ত করতে পারেননি। তিনি নিজে কীভাবে বল ভেতরে ঢুকাতেন সেটাই বুঝিয়ে বলেছেন কাটার মাস্টারকে, ‘সবাই বলে ইনসুইং আমি যতবার আসি ততবার বলি ওর ইনসুইং দরকার। কিন্তু ইনসুইংটা কত ক্লোজ কত কীভাবে করতে হবে কিছু টেকনিক আমি বলেছি।’

প্রিন্সের পরামর্শ ছিল বাকিদের প্রতিও, ‘সবার জন্যই বোলিংয়ের কিছু সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কীভাবে আমি করতাম। দিন তো পরিবর্তন হয়েছে, এখন কোচ আসছে। কোচ তো আসবে যাবে। কিন্তু এটা তোমাদের নিজেদের মাথায় রেখে করতে হবে। মাঠের ভেতরে বোলিং করার ট্যাকটিসটা কিন্তু ওটা তোমার।’

বড় কিছু করতে হলে খেলা ছাড়াও একজন পেসারের সারাক্ষণ ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকতে হয়। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে চলাফেরাতেও তাই সাবধানে পা চলার নীতি প্রিন্সের,

‘আমি পেসারদের বলেছি দেখ ভালো বোলিং করার জন্য, সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বসে খেতাম না। আর সব সময় একটা ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকতাম। ক্রিকেট সংস্কৃতির মধ্যে থাকাটা খুব জরুরী। এটা তো সিরিয়াস গেম।’

পেসাদের কেউ কেউ মাঠের বাইরের ঘটনায় নেতিবাচক আলোচনায় এসেছেন গণমাধ্যমে। সাবেক টাইগার পেসারদের মত পেসাররা যেন নিজেদের সম্পদ ভাবেন, মর্যাদাশীল চলাফেরা করেন,  

‘আমি ওটা বলেছি যে তোমার নিজেকে ক্যারি করতে হবে ওইভাবে। মর্যাদাশীল হতে হবে। কারণ তুমি আমাদের দেশের সম্পদ। ওদেরকে ওইভাবেই চলতে হবে।’

Comments