নতুন বছরের প্রেরণায় ইতিবাচক স্মৃতির খোঁজ তামিমের

তামিম ইকবাল যা কিছু মলিন তা বাদ দিয়ে যা কিছু রঙিন তা নিয়েই এগুতে চান।
Tamim Iqbal
ছবি: স্টার

২০১৭ সালটা কেমন গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটের? টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠা। আবার আগের বছরের চেয়ে বেশি ম্যাচে হার। শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাটল ‘দুঃস্বপ্নের’ সফর। তবে তামিম ইকবাল যা কিছু মলিন তা বাদ দিয়ে যা কিছু রঙিন তা নিয়েই এগুতে চান।

পুরো বছরে মাত্র চারটি ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে জয় দুটি। টি-টোয়েন্টি আছে কেবল একটাই জয়। মনের ভেতর খচখচানি নিয়েও ভালোটা খুঁজে বের করার চেষ্টায় তামিম,

‘আমাদের সফলতা একটু ছিলো। তবে আরো ভালো করতে পারতাম। শ্রীলঙ্কায় আমরা সিরিজ ড্র করেছি। ওইটা জিততেও পারতাম। ছোট ছোট ভুল ছিলো, ভালো কিছু ফলাফল ছিলো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানো, ত্রিদেশীয় সিরিজেও (আয়ারল্যান্ডে) নিউজিল্যান্ডকে হারানো। শ্রীলঙ্কা সফরটা সব মিলিয়ে ভালো ছিলো। ইতিবাচক ছিলো। নতুন বছরে আমরা গত বছরের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার আশা ও প্রত্যাশা থাকবে। ’

২০১৭ সালে ওয়ানডেতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমেরই। সাদা পোশাকেও সেরা পাঁচে ছিলেন কিন্তু মেটাতে পারেননি চাহিদা। আসছে বছর আত্মনিবেদন দিয়ে পুষিয়ে দিতে চান সব, ‘২০১৭ সালটা আমার জন্য ভালো ছিলো। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। চেষ্টা থাকবে এটাকে আরো দীর্ঘ করার। সামনের সিরিজগুলোতেও একই মানসকিতা ও আত্মনিবেদন নিয়ে চেষ্টা করবো আরো ভালো করতে।’

সদ্য সাবেক কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন যার সেরাটাই দিয়েছেন বাংলাদেশকে। হাথুরুর কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার দাবি তামিমেরও, ‘চার বছর তিনি বাংলাদেশের সাথে ছিলেন। অবশ্যই তিনি আমাদের জন্য ভালো কিছু করেছেন। এই কৃতিত্ব তারে দিতেই হবে। তিনি এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তার জন্য শুভ কামনা। ’

প্রধান কোচ না থাকায় দলে সিনিয়রদের উপরই দায়িত্ব বেশি। সেই দায়ভারটা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভালোই জানা আছে। তরুণদেরও এগিয়ে আসার আশা তামিমের, ‘দেখেন এটা আসলে বলার তো দরকার নেই। আমরা এটা নিজেরাও বুঝি। আমরা চার পাঁচজন আছি, যারা ১০-১২ বছর ধরে খেলছি। সব মিলিয়ে ২০০-এর উপরে ম্যাচ খেলেছি। তাদের অবশ্যই দায়িত্ব আছে। যারা তরুণ তারাও দারুণ উপযুক্ত। যারা সিনিয়র আছে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago