বছরের প্রথম দিনই ট্রাম্পের টুইট ঝড়, কিমের হুমকি
টুইটারে বেশি সময় দেন বলে অনেকেই মজা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডাকেন ‘টুইটিং ট্রাম্প’ নামে। নতুন বছরের প্রাক্কালে মোট ৫টি টুইট করেছেন তিনি। অন্যদিকে বছরের প্রথম দিনই পুরনো চিরচেনা রূপে হাজির ছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক হামালার বোতামটি সবসময় তার ডেস্কের ওপরই থাকে। এর বাইরে এঙ্গেলা মের্কেল, শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন, থেরেসা মেসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারাও বিশ্ববাসীকে নববর্ষে শুভকামনা জানিয়েছেন।
As our Country rapidly grows stronger and smarter, I want to wish all of my friends, supporters, enemies, haters, and even the very dishonest Fake News Media, a Happy and Healthy New Year. 2018 will be a great year for America!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) December 31, 2017
টুইটে ট্রাম্প বলেন, “দ্রুতগতিতে আমাদের দেশ শক্তিশালী ও স্মার্ট হয়ে ওঠায় আমি আমার সকল বন্ধু, সমর্থক, শত্রু, বিদ্বেষী এমনকি সবচেয়ে অসৎ ফেক নিউজ মিডিয়াকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। ২০১৮ সাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্মরণীয় হবে!”
HAPPY NEW YEAR! We are MAKING AMERICA GREAT AGAIN, and much faster than anyone thought possible!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) December 31, 2017
এই টুইটের মাত্র দেড় ঘণ্টা পর নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আরেকটি টুইট করেন ট্রাম্প। তিনি লিখেন, “শুভ নববর্ষ! লোকে যা ভেবেছিল তার চেয়েও দ্রুতগতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা আবার মহান করে তুলছি!”
শুধু এই দুটোই নয়, নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে আরও টুইট করেছেন ট্রাম্প। তবে মূল বার্তা ওই একটাই; যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা ফের মহান করে তুলছি! শুভ নববর্ষ! আর অর সবগুলোই করেছেন মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, “পারমাণবিক হামলার জন্য নির্দেশ দেওয়ার বোতামটি সব সময় তার ডেস্কের ওপরই থাকে, ফলে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধ শুরু করতে পারবে না। …উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের আওতার মধ্যেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা কোনো হুমকি নয় বরং বাস্তবতা।” নতুন বছরের শুভকামনা জানাতে ভাষণে এভাবেই চিরচেনা রূপে নিজেকে হাজির করেন কিম।
দেশব্যাপী সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, নতুন বছরে বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই চীনের নিজস্ব বক্তব্য থাকবে এবং তারা “বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ”কে সম্প্রসারিত করবে। সেই সাথে জাতিসংঘ, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উন্নয়নসহ আন্তর্জাতিক সব দায় দায়িত্ব মেনে চলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তবে চিরাচরিত কোনো রাজনৈতিক বার্তা ছিল না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নববর্ষের বক্তব্যে। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের ভালোবাসায় জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, পিতামাতার আদর যত্ন ও সন্তানদের সঠিকভাবে বোঝার মধ্য দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। শত্রুতা ভুলে সবাইকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতে ও গলা মেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে নববর্ষের বার্তায় ইউরোপে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। ব্রেক্সিটের ধাক্কা সামলাতে, ইইউর ঐক্য অটুট রাখতে ও দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং অভিবাসনের অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ব্রেক্সিট, লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা, নির্বাচনে খারাপ ফল সবকিছু মিলিয়ে গত বছর ভালো যায়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র। তবে নতুন বছরে ব্রিটেনের “আত্মবিশ্বাস ও গর্ব” ফিরে আসার ব্যাপারে তিনি জোর আশাবাদী। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় মে বলেন, “প্রত্যেক বছরই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ থাকা বা না থাকা নয়, আপনি কিভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন সেটাই আসল পরীক্ষা। আমার বিশ্বাস ২০১৮ সালে ব্রিটেনের গর্ব পুনর্জীবিত হবে।”
Wishing you all a happy 2018! I pray that this year brings joy, prosperity and good health in everyone's lives.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 1, 2018
ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইটারে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
Comments