আসামে নাগরিক তালিকা থেকে কোটি বাঙালি বাদ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারি, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আসামে রাষ্ট্রীয় নাগরিক পুঞ্জি থেকে এক কোটির বেশি বাঙালি বাদ পড়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সভানেত্রী মমতার ভাষায়, “আগুন নিয়ে খেলবেন না। আসাম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে অশান্তি হলে তার প্রভাব পড়বে বাংলায়। আসামে সবাই বাঙালি খেদাও করছে। ...চক্রান্ত করে মানুষকে নিজের এলাকা থেকে সরানোর নোংরা চেষ্টা করছে বিজেপি।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
বুধবার বীরভূমে এক অনুষ্ঠানে আসাম সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ছবি: স্টার

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আসামে রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে কোটি কোটি বাঙালি বাদ পড়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সভানেত্রী মমতার ভাষায়, “আগুন নিয়ে খেলবেন না। আসাম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে অশান্তি হলে তার প্রভাব পড়বে বাংলায়। আসামে সবাই বাঙালি খেদাও করছে। ...চক্রান্ত করে মানুষকে নিজের এলাকা থেকে সরানোর নোংরা চেষ্টা করছে বিজেপি।”

বুধবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার এবং আসামের বিজেপির সরকারের দিকে এইভাবেই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

২০১৮ সালের প্রথম দিন আসামে রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ করা হয়। খসড়ায় বাদ পড়েন কমপক্ষে এক কোটি ৩৯ লাখ আবেদনকারী। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বাঙালি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসহ বাঙলাভাষী রাজ্যগুলোতে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

বীরভূমের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসামের চলমান এই সমস্যা ছাড়াও লোকসভায় তিন তালাক ইস্যু নিয়েও বিজেপির সমালোচনা করেন মমতা।

মমতা এদিন বলেন, আসামে এখন বাঙালি খেদানোর চেষ্টা চলছে। সেখানে তিন দশক, চার দশক ধরে যারা বাস করছেন তাদেরও নাম ওঠেনি। ভাবা যায়, কতটা নোংরা রাজনীতি হচ্ছে!

প্রসঙ্গত, আসামে তিন কোটি ২৯ লাখ মানুষের আবেদন জমা পড়েছিল ভারতের রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জিতে যুক্ত হওয়ার জন্য। ৩১ ডিসেম্বর যে খসড়া প্রকাশিত হয় তাতে এক কোটি ৯০ লাখ আবেদনকারীর নাম ওঠে। বাকি এক কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে।

এর মধ্যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ঘোষণা করেছেন, রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জিতে যাদের নাম নেই তাদের রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ সুবিধা মিলবে না। এই ঘোষণার পর আসাম রাজ্য জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য জানায়নি ভারতের বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথম দফায় খসড়ার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী বছর দ্বিতীয় দফার খসড়া প্রকাশ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago