মার্চ থেকে এনআইডি পাবেন নতুন ভোটাররা
২০১৩ সালের পর যারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন তাদের আগামী মার্চ মাস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিবে নির্বাচন কমিশন। তবে এ দফায় স্মার্ট এনআইডি পাচ্ছেন না নতুন ভোটাররা। প্রাথমিকভাবে তাদের ল্যামিনেটেড কার্ড দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এক কোটি ১০ লাখ কার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ কার্ড প্রিন্ট হয়েছে।
অন্যদিকে আগে থেকেই যাদের ল্যামিনেটেড এনইডি কার্ড রয়েছে তাদের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরনো কার্ড বদলে স্মার্ট এনইডি দিতে চায় ইসি। এ লক্ষ্যে গত ডিসেম্বর শুরু থেকে ৩৭টি জেলায় স্মার্ট এনআইডি বিতরণের কাজ চলছে।
আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের ভাষ্য, স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইআরআইএস স্ক্যানারের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এই মাসের মধ্যে যন্ত্রগুলো পেয়ে গেলে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব জেলায় তারা স্মার্ট এনআইডি বিতরণের কাজ শুরু করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।
তবে যারা ২০১৩ সালের পর ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন স্মার্ট এনআইডির জন্য তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
এর পাশাপাশি দেশব্যাপী এনআইডি কার্ডের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণে গতি আনতে দুই হাজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ও আরও দুই হাজার ইমেজ রিকগনিশন ইন্টেলিজেন্ট সফটওয়্যার (আইরিস) স্ক্যানার ক্রয়েরও উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
অন্যদিকে এনআইডি হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন কার্ড পাওয়ায় ভোগান্তি কমাতেও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে এখন থেকে এনআইডি হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড পেতে আর ঢাকায় আসতে হবে না। আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকেই নতুন এনআইডি সংগ্রহ করা যাবে। এরকম ক্ষেত্রে এনআইডি রিপ্রিন্ট করতে ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসকে অনুমতি দিয়েছে ইসি।
এই প্রক্রিয়াটিকে আরও মসৃণ করতে এনআইডি হারিয়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যেই যেন নাগরিকদের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া যায় সে জন্যে একটি কার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করারও পরিকল্পনা করছে ইসি। এটা হলে কার্ডধারী ব্যক্তি ঘরে বসেই অনলাইনে তার এনআইডি তৈরির কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
Comments