‘সৌম্যকে একটু ব্রেক দিয়েছি’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্য সরকারকে ব্রেক
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সৌম্য সরকারের। তিন বছর পর ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচের ঠিক আগে বাদ পড়লেন তিনি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন অবশ্য তার বেলায় ‘বাদ’ শব্দটা ব্যবহার না করে বললেন ‘ব্রেক’ দিয়েছি সৌম্যকে।  
 
২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর। তিন বছরের বেশি সময়  তার ব্যাটের দাপটে বাংলাদেশ পেয়েছে সাফল্য, নিজেও বাহবা কুড়িয়েছেন মানুষের। তবে গেল দুই বছরই ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছিলেন তিনি।  
 
ত্রিদেশীয় সিরিজে সৌম্য থাকছেন না, কদিন ধরেই চলছিল গুঞ্জন। রোববার দল গুঞ্জন সত্যি করে ব্যাখ্যা দেন মিনাহাজুল,  ‘সৌম্য সব ফরম্যাটেই কিছুদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। ওর ট্যালেন্ট নিয়ে কোন রকম কোন প্রশ্ন নেই। যেহেতু একটু ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই, এইজন্য আমরা একটু ব্রেক দিয়েছি।  সৌম্য আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। যেহেতু আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা আশা করি ও আবার ফর্মে ফিরে আসবে।’
২০১৭ সালে সব ফরম্যাট মিলিয়ে তামিম, সাকিব, মুশফিকের পরই আছেন সৌম্য। তবু তার বাদ পড়ার কারণ ধারাবাহিকতার অভাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম পেয়ে এই ওপেনারের ছন্দে ফেরার প্রত্যাশা প্রধান নির্বাচকের, 'ধারাবাহিকতা রক্ষা করা খুব কঠিন জিনিস। একবার যদি ব্রেক ডাউন হয় তাহলে এটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।  সবকিছু মিলিয়েই তাকে একটা ব্রেক দেওয়া চিন্তা ভাবনা করেছি।  মানসিক ভাবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে সৌম্য কিছুটা ব্রেক প্রয়োজন। '
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্য সরকারকে ব্রেক
সৌম্যের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় ২০১৫ সাল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অভিষেকের পরই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠে বিশ্বকাপে খুব বড় ইনিংস না খেললেও প্রতি ম্যাচেই দারুণ সাহসী শুরু এনে দলকে অক্সিজেন জুগিয়েছেন এই তরুণ। বিশ্বকাপে গিয়ে এনামুল বিজয়ের চোটে একাদশে জায়গা আরও পোক্ত হয়ে যায় তার।
 
বিশ্বকাপের পরপরই ঘরে মাঠে সৌম্যর ব্যাটে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা ১২৭ রানের ইনিংস সে সিরিজেই। পরে ভারতের বিপক্ষে তামিমের সঙ্গে ঝড়ো শুরু এনে রাখেন অবদান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের সিরিজে তো ছিলেন সিরিজ সেরা। প্রোটিয়া পেসারদের গুড়িয়ে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংস ছিল তার।
 
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তারই। তবে ওয়ানডেতে ছিলেন মলিন। ১২ ম্যাচে ২৪ গড়ে করেছেন ২৪৩ রান। শেষ ছয়টি ইনিংসে করতে পারেননি ফিফটি।
 
ক্যারিয়ারে ৩২ ওয়ানডে খেলে ৩৪.৫৩ গড়ে করেছেন ৯৬৭ রান। ছয় ফিফটি সঙ্গে আছে একমাত্র সেঞ্চুরি। 

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

1h ago