বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মার্চে উৎক্ষেপণ করা হবে
ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে।
মন্ত্রী বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশেরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে একটি উল্লেখযোগ্য দিন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত চার বছরে আইসিটি সেক্টরের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পাওয়ার পয়েন্টে তুলে ধরেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দিনটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত জাতির ক্লাবের সদস্য হবে। এর মানে তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চান।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আগে আর কোন নেতা দেশকে ডিজিটাল করার আগ্রহ অথবা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেননি। তার ঘোষণার পর গ্রেট ব্রিটেন ডিজিটাল ব্রিটেন করার ঘোষণা দেন। ভারতও ডিজিটাল দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এতোদিন অন্যদের অনুসরণ করেছে। আর এখন অন্যরা বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে শুরু করছে।
ডাকমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিলেন, সেই যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি কেনিয়া সফরকালে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে আনা, ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি এবং তার মন্ত্রণালয়ের অধীন ডাক বিভাগ, বিটিসিএল-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে পলক বলেন, এমন জনশক্তি তৈরি করতে হবে, যারা ভবিষ্যতে বিশ্ব আইসিটি শিল্পে নেতৃত্ব দিবে।
তিনি বলেন, সরকার ভিশন-২০২১ এর অংশ হিসাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং তাদেরকে আইসিটি সেক্টরের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমরা সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করব। ইতোমধ্যেই এর কয়েকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২,৬০০ ইউনিয়ন ব্রন্ডব্যান্ড সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব করার অংশ হিসেবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করছি।
মোস্তফা জব্বার বলেন, সরকার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করেছে। আমরা আইসিটি রফতানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিচ্ছি। আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মানের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার তৈরি করছি। আগামী মার্চের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ৬৩১ জন প্রতিবন্ধীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং তাদের মধ্যে ৪৯৯ জনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার আইটি সেক্টর বিকাশের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সরকার এএসওসিআইও-২০১৬ ডিজিটাল গভর্নর এ্যাওয়ার্ড, দ্য গ্লোবাল এ্যাওয়ার্ড-২০১৭, দ্য আইসিটি এডুকেশন এ্যাওয়ার্ড-২০১৭ এবং ই-এশিয়া-২০১৭ এ্যাওয়ার্ডের মতো অনেকগুলো এ্যাওয়ার্ডের প্রচলন করেছে।
Comments