দুই বছরে ফেরত যাবে রোহিঙ্গারা

রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ‘ফিজিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট’ নামে মাঠ পর্যায়ের চুক্তি আজ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এতে দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো কথা বলা হয়েছে।
Rohingya repatriation
বাংলাদেশের সীমান্ত অভিমুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল। স্টার ফাইল ছবি

রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ‘ফিজিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট’ নামে মাঠ পর্যায়ের চুক্তি আজ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এতে দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) প্রথম বৈঠকে রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এসব সিদ্ধান্ত এসেছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দুদেশের মধ্যে পূর্বে স্বাক্ষরিত প্রত্যাবাসন চুক্তি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের রেফারেন্সের শর্তের আলোকে ফিজিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা পরিবারকে ইউনিট হিসেবে ধরে যাচাই বাছাই (ভেরিফিকেশন) ও প্রত্যাবসনের কাজ করা হবে। সেই সঙ্গে যেসব রোহিঙ্গা ফেরত যাবেন, তাদের জন্য একটি ভেরিফিকেশন ফরমও চূড়ান্ত করা হয়েছে আজ।

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের পার্লামেন্ট সচিব মিন্ট থোয়ে তার দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

চুক্তিতে অনাথ শিশুদের প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ফিজিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট অনুযায়ী পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপন করবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে মিয়ানমারের দিকে শরণার্থীদের গ্রহণ করতে দুটি রিসেপশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। ফেরত যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে লা ফু খুং নামের একটি এলাকায় অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হবে। দ্রুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে পরে তাদের সেখানে পাঠানো হবে।

সেই সাথে সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশ অভিমুখে শরণার্থীদের আসা বন্ধ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka Battery-Powered Rickshaw Restrictions

Traffic police move against battery-run rickshaws on major roads

The move has brought some relief to commuters, as the high-speed rickshaws have been causing accidents.

2h ago