শরণার্থী সংকট

পূর্ব আফ্রিকায় সহায়তা কমিয়ে বাংলাদেশে গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ

rohingya refugees
কক্সবাজারের কাছে বালুখালী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ত্রাণ নেওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছেন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর ১৫ লাখ শরণার্থীর খাদ্য সহায়তা কমিয়ে সিরিয়া, ইয়েমেন ও বাংলাদেশের শরণার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তহবিল সংকটের কারণে তারা পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে সহায়তা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে এই দেশগুলোতে অপরাধ, পুষ্টিহীনতা ও স্কুল থেকে শিশুদের ঝড়ে পারার হার বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তারা সতর্ক করেছেন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পূর্ব আফ্রিকার মুখপাত্র পিটার স্মার্ডন বুধবার বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে সিরিয়া, ইয়েমেন ও বাংলাদেশের দিকে এখন বেশি নজর দিচ্ছেন দাতারা।

সংঘাত কবলিত পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে অনাবৃষ্টির কারণে লাখো মানুষ কেনিয়া, ইথিওপিয়া তানজানিয়া ও রুয়ান্ডায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, গত সাত মাসে এই দেশগুলোতে ভুট্টা, ভোজ্য তেলের মত জরুরি খাদ্য সহায়তা এক তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। সহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএফপিতে আমার ১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতায় বছরের এই সময়টায় এত বেশি শরণার্থী আমি দেখিনি।’

‘ত্রাণের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দাতারা চাহিদা সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে।’

স্মার্ডন বলেন, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও তানজানিয়ায় শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় ২০১৮ সালে ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রয়োজনের এক পঞ্চমাংশ সহায়তা তারা পেয়েছেন। তহবিল সংকট চলতে থাকলে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা আরও কমিয়ে দিতে হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

হর্ন অব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদানে চলমান সংঘাত থেকে বাঁচতে লোকজন এই দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিশ্বের নবীনতম দেশ দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধ এই মুহূর্তে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের জন্ম দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

2h ago