মেলায় বাংলাদেশ দিবস ৩ ফেব্রুয়ারি

কলকাতা বই মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন ‘আহসান মঞ্জিল’

কলকাতা বই মেলায় এবার বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন হচ্ছে ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল-এর আদলে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আন্তর্জাতিক বই মেলার ৪২তম এই আসর। এটি চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
Ahsan Manzil
ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল। ছবি: উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া

কলকাতা বই মেলায় এবার বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন হচ্ছে ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল-এর আদলে। আগামী ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আন্তর্জাতিক বই মেলার ৪২তম এই আসর। এটি চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। উদ্বোধন করবেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবারের কলকাতা মেলার থিম কান্ট্রি ফ্রান্স। ফ্রান্সের শিল্প-সাহিত্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবারের কলকাতা বই মেলায়। বইয়ের এই উৎসবে ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে ৩ ফেব্রুয়ারি- জানালেন মেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।

তিনি আরো বললেন, প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে বড় পরিসরে। বাংলাদেশের বইয়ের প্রতি কলকাতার মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। তাই জনসমাগমের হিসাবে এবারও বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন এগিয়ে থাকবে বলে আশা করা যায়।

কলকাতার মানুষের কাছে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবারও বাংলাদেশ বড় আকারে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “এবার বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নজরুল একাডেমি ছাড়াও বাংলাদেশের নামি সব প্রকাশনী অংশ নিচ্ছে।”

“প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নটি তৈরি করা হবে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের আদলে,” যোগ করেন তিনি।

‘বাংলাদেশ দিবসে’ প্রধান অতিথি হিসেবে আসছেন সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী ও বরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। সেদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বহু বিশিষ্ঠ কথা-সাহিত্যিক, কবি ও শিল্পীরাও দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন- জানান উপরাষ্ট্রদূত।

ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লন্ডন বইমেলার পর কলকাতার বইমেলা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম। এটি এশিয়ার বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে স্বীকৃত।

১৯৭৬ সাল থেকে কলকাতার ময়দানে কলকাতা পুস্তক মেলা নামে এই মেলার সূচনা হয়। কিন্তু সেখানে সবুজ নষ্ট হওয়ার কারণে ২০০৯ সাল থেকে বাইপাসের মিলন-মেলা প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত করা হয় এটি।

এদিকে, মিলন-মেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলায় এবার সেখান থেকে তা সরিয়ে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার অধিকতর ছোট জায়গায় বই মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় কিছুটা চিন্তিত আয়োজকরা। তবে সেটিকে খুব বড় সমস্যা হিসেবেও দেখছেন না তারা।

Comments