‘যেকোনো অর্জনই উদযাপন করা উচিত’
এক ম্যাচে দুই মাইলফলকে পৌঁছেছেন। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। তামিম ইকবাল জানালেন সব অর্জনই উদযাপন করতে ভালো লাগে তার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সবার আগে ছয় হাজার রান করতে ৬৬ রান লাগত তামিমের। এক ভেন্যুতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড থাকা শ্রীলঙ্কার সনাত জয়াসুরিয়াকে ছাড়িয়ে যেতে লাগত ৪২। ৭৬ রানের ইনিংসে সবই এসেছে। রেকর্ডের কথা মাথায় নিয়েই নেমেছিলেন,
‘আমি জানতাম অবশ্য আজকে ম্যাচের আগে যে আমার দুইটা রেকর্ডের জন্য কত রান লাগবে। তো এটা পূরণ করতে পারলে সবসময়ই ভালো লাগে। একই মাঠে এতো রান আরেকটা হলো ছয় হাজার রানের মাইলস্টোন। আমি আগের প্রেস কনফারেন্সেই বলেছিলাম আমি এটা উদযাপন করবো। যে কোনো অর্জনই উদযাপন করা উচিত।’
তবে ছয় হাজার রান থেকেও এক ভেন্যুতে করা সর্বাধিক রানকে এগিয়ে রাখলেম, ‘ আমি মনে করি, একই ভেন্যুতে বেশি রান করার রেকর্ডটি একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমার কাছে বেশি এগিয়ে থাকবে।’
আগের দুই ম্যাচেও দলের সর্বাধিক রান তারই ছিল। প্রথমটিতে দলকে জিতিয়ে অপরাজিত ছিলে ৮৪ রানে। পরের ম্যাচে আউট হন ৮৪ রানে। দুই ম্যাচেই ব্যাটে-বলে সমান মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার বাগিয়ে নেন বন্ধু সাকিব আল হাসান। পুরষ্কার প্রাপ্তির চেয়ে স্বীকৃতি পাওয়াকেই বড় করে দেখেন টাইগার ওপেনার, ‘আমি রিওয়ার্ড চাই, অ্যাওয়ার্ড না। আজও আমার ও সাকিবের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই (ম্যাচ সেরার পুরস্কারের জন্য) ছিলো। কারণ সেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলো এবং শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলো। এটা যদি ওর কাছেও যেতো আমি মন খারাপ করতাম না কারণ আমি মনে করি সেও সমানভাবে এটার যোগ্য।’
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তামিম আর সাকিবের দুই ফিফটিতে ২১৬ রান করে বাংলাদেশ। পরে ওই রান টপকাতে গিয়ে ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
Comments