‘খুবই অবাক হয়েছি, মাথাতেও ছিল না’
টেস্ট দলে রাজ্জাকের ডাক পাওয়ার খবর এসেছে চমক হয়ে। রাজ্জাক নিজেও এমন খবরে হয়েছিলেন ভীষণ অবাক।
টেস্ট দল ঘোষণা হয়েছিল আগেই, তাতে অনুমিতভাবেই ছিলেন না আব্দুর রাজ্জাক। টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোটের পর ডাকা হয় আরও দুজন স্পিনারকে। সেখানেও ছিল না তার নাম। একদিন পর তাই টেস্ট দলে রাজ্জাকের ডাক পাওয়ার খবর এসেছে চমক হয়ে। রাজ্জাক নিজেও এমন খবরে হয়েছিলেন ভীষণ অবাক।
কদিন আগেই দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পক্ষে তার হাতে সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন সাকিব আল হাসান। সেই সাকিবের চোটে হুট করেই টেস্ট দলে তিনি। প্রায় অবিশ্বাস্য খবরটা শুরুতে তার কাছে লেগেছে ঘোরের মতন, ‘অবশ্যই ভালো লাগার তো ব্যাপার আছে। কিন্তু খুবই অবাক হয়েছি। আমি আসলে চিন্তাও করিনি এই সময়ে। মাথাতেও ছিল না। আমাকে বলার পরেও বুঝতেছিলাম না আসলে কি হচ্ছে। ঠিক আছে কিনা সব কিছু।’
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্জাককে। খানিক পর তার চট্টগ্রামের টিকেট কনফার্ম করে ফোন করেন বিসিবির লজিস্টিক ম্যানেজার কাওসার আজম। তখনো দোলাচলে রাজ্জাক। প্রধান নির্বাচক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ফোন পেয়ে হয়েছেন নিশ্চিত,
‘আকরাম ভাইর সঙ্গে কথা হয়েছিল, পরিষ্কার কিছু ছিল না। সজীব (লজিস্টিক ম্যানেজার কাওসার আজম) মূলত আমাকে ফোন করছিলেন। টিকেট কনফার্ম করে ফোন করছে। উনি বলছিলেন কনগ্রেচুলেশন। বললাম কিসের জন্য। ৫০০ উইকেটের জন্য? আরে না আপনি যাচ্ছেন, আপনার টিকেট এইটাই। তারপর নান্নু ভাই ফোন করছে। তারপর বুঝতে পারলাম।’
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সব শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন রাজ্জাক। চার বছর পর আবার ফেরায় জানালেন, আশা ছাড়েননি। তবে এই সময়টায় ডাক পাবেন তাও ভাবেননি, ‘এরকম না। খেলার মধ্যে থাকলে। কোন ভুল না থাকলে আসলে লক্ষ্য থাকে। সেটা ছিলই। এই সময় হবে এরকমভাবে হবে ভাবিনি।’
দেশের হয়ে রাজ্জাকের সাফল্যের পাল্লা অবশ্য রঙিন পোশাকেই ভারি। যখন দলে নিয়মিত ছিলেন তখনো টেস্টে ওইভাবে ডাক পড়েনি। লম্বা ক্যারিয়ারে তাই খেলা হয়নি ১২টির বেশি টেস্ট। ওয়ানডেতে যেখানে পেয়েছেন দুশোর বেশি উইকেট, সাদা পোশাকে ক্যারিয়ার থেমে ছিল ২৩ উইকেটেই। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে গেছেন। জানালেন তার পরিকল্পনা খুব সোজাসাপ্টা, ‘আমার প্লান আসলে খুব সিম্পল থাকে সব সময়। যখন যেটা খেলি চেষ্টা করি সেটা ভালো করার। এখানকার সময়টা যদি ভালো যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে পরের সময়টাও ভালো কাটে। খারাপ কিছু হওয়ার চান্স কম থাকে।’
কদিন আগেই দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পক্ষে তার হাতে সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন সাকিব আল হাসান। সেই সাকিবের চোটে হুট করেই টেস্ট দলে তিনি। প্রায় অবিশ্বাস্য খবরটা শুরুতে তার কাছে লেগেছে ঘোরের মতন, ‘অবশ্যই ভালো লাগার তো ব্যাপার আছে। কিন্তু খুবই অবাক হয়েছি। আমি আসলে চিন্তাও করিনি এই সময়ে। মাথাতেও ছিল না। আমাকে বলার পরেও বুঝতেছিলাম না আসলে কি হচ্ছে। ঠিক আছে কিনা সব কিছু।’
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্জাককে। খানিক পর তার চট্টগ্রামের টিকেট কনফার্ম করে ফোন করেন বিসিবির লজিস্টিক ম্যানেজার কাওসার আজম। তখনো দোলাচলে রাজ্জাক। প্রধান নির্বাচক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ফোন পেয়ে হয়েছেন নিশ্চিত,
‘আকরাম ভাইর সঙ্গে কথা হয়েছিল, পরিষ্কার কিছু ছিল না। সজীব (লজিস্টিক ম্যানেজার কাওসার আজম) মূলত আমাকে ফোন করছিলেন। টিকেট কনফার্ম করে ফোন করছে। উনি বলছিলেন কনগ্রেচুলেশন। বললাম কিসের জন্য। ৫০০ উইকেটের জন্য? আরে না আপনি যাচ্ছেন, আপনার টিকেট এইটাই। তারপর নান্নু ভাই ফোন করছে। তারপর বুঝতে পারলাম।’
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সব শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন রাজ্জাক। চার বছর পর আবার ফেরায় জানালেন, আশা ছাড়েননি। তবে এই সময়টায় ডাক পাবেন তাও ভাবেননি, ‘এরকম না। খেলার মধ্যে থাকলে। কোন ভুল না থাকলে আসলে লক্ষ্য থাকে। সেটা ছিলই। এই সময় হবে এরকমভাবে হবে ভাবিনি।’
দেশের হয়ে রাজ্জাকের সাফল্যের পাল্লা অবশ্য রঙিন পোশাকেই ভারি। যখন দলে নিয়মিত ছিলেন তখনো টেস্টে ওইভাবে ডাক পড়েনি। লম্বা ক্যারিয়ারে তাই খেলা হয়নি ১২টির বেশি টেস্ট। ওয়ানডেতে যেখানে পেয়েছেন দুশোর বেশি উইকেট, সাদা পোশাকে ক্যারিয়ার থেমে ছিল ২৩ উইকেটেই। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে গেছেন। জানালেন তার পরিকল্পনা খুব সোজাসাপ্টা, ‘আমার প্লান আসলে খুব সিম্পল থাকে সব সময়। যখন যেটা খেলি চেষ্টা করি সেটা ভালো করার। এখানকার সময়টা যদি ভালো যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে পরের সময়টাও ভালো কাটে। খারাপ কিছু হওয়ার চান্স কম থাকে।’
Comments