দলে স্পিনারদের ছড়াছড়ি নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা

সাকিব আল হাসানের চোটের আগে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ছিলেন মোট চার স্পিনার। সাকিবের ছিটকে পড়ার পর ডাক পেয়েছিলেন দুজন। একদিন পর ডাকা হয় আব্দুর রাজ্জাককেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ১৬ জনের দলে তাই ছয়জনই বিশেষজ্ঞ স্পিনার।
Minhajul Abedin Nannu
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন। ফাইল ছবি: একুশ তাপাদার

সাকিব আল হাসানের চোটের আগে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ছিলেন মোট চার স্পিনার। সাকিবের ছিটকে পড়ার পর ডাক পেয়েছিলেন দুজন। একদিন পর ডাকা হয় আব্দুর রাজ্জাককেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ১৬ জনের দলে তাই ছয়জনই বিশেষজ্ঞ স্পিনার।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পেয়ে ছিটকে যান নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক। ওইদিনই তার বদলে দলে ডাকা হয় বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও লেগ স্পিনার তানবীর হায়দারকে। ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ডাক পড়ে আব্দুর রাজ্জাকেরও। প্রায় চার বছর পর হুট করে ডাক পড়ায় রাজ্জাক নিজেও হয়েছিলেন অবাক। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানালেন, সব হয়েছে প্রক্রিয়া মেনেই,

‘হুট করে নয়। এটা প্রক্রিয়াতেই ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে আমরা স্পিনারদের উপর নির্ভার করেই খেলছি। রাজ্জাক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব চোট পেয়েছে। এজন্য আমরা চিন্তা করলাম যে সানজামুল তো নতুন। ও আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। তাইজুলও আছে। আমরা চিন্তা করলাম রাজ্জাক যেহেতু ঘরোয়াতে ভালো করছে, ওকে দলের সঙ্গে রাখলে যদি সুযোগ আসে তাহলে দেখা যাবে। এই চিন্তা করেই ডাকা হয়েছে।’

ফাইল ছবি
সানজামুলকে ডাকার সময়েও নাকি বিবেচনায় ছিলেন রাজ্জাক। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে দেরি হওয়াতেই নাকি সব দুইবার দল দেওয়া,  ‘অবশ্যই বিবেচনায় ছিল। খেলা শেষে আমরা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করতে পারিনি। আরেকজনকেও দেওয়ার চিন্তা ছিল। যেহেতু দেশের মাটিতে দুটি টেস্ট আছে সিরিজে, এজন্য ১৬ জনের স্কোয়াড করেছি। যার পজিশন ভালো থাকবে, তাকেই আমরা খেলাব।’

অভিজ্ঞতা মাথায় নিলে সাকিবের ইনজুরির পর পরই কেন ভাবনায় এলেন না আব্দুর রাজ্জাক? কোন দিক চিন্তা করে ডাকা হলো সানজামুল আর তানবীরকে? প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা পরিষ্কার নয়।

‘যেহেতু অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার (রাজ্জাক) , আগে খেলে গিয়েছে, ঘরোয়াতে পারফর্ম করছে, যেহেতু সানজামুল অনভিজ্ঞ, সে হিসেবে চিন্তা করে আনা হয়েছে।’

‘সে (রাজ্জাক) ভাবনায় না থাকলে তো আজকে চট্টগ্রামে প্রথম অনুশীলন সেশনেই থাকে না। এটা তো বলতে পারেন না যে হুট করে আনা হয়েছে ওকে।’

রাজ্জাক আসায় দলে এখন বাঁহাতি স্পিনারই তিনজন। এরমধ্যে কে খেলবেন তা নিশ্চিত না হলেও প্রধান নির্বাচকের কথায় ইঙ্গিত সানজামুল থাকছেন ব্যাকআপ হিসেবে,

‘সানজামুলকে আমরা রেখে দিয়েছি। যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা, যে কোনো কাউকে ডাকতে পারি।’

সানজামুল অনভিজ্ঞ, তাইজুলের ফর্মহীনতায় স্কোয়াডে স্পিনারদের ছড়াছড়ি। ম্যাচের আগের দিন তাদের মধ্য থেকে কে ভালো অবস্থায় তা ঝালাই করেই নেওয়া হবে একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত,

‘সানজামুল একদম অনভিজ্ঞ, একটি টেস্টও খেলেনি। তাইজুলের ফর্মটাও চিন্তা করতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১টি টেস্ট খেলেছে। অত ভালো করেনি। তো সেই হিসেবে ফর্মের কথা চিন্তা করেই আমরা বাড়তি স্পিনার নিয়েছি। যার পজিশন ভালো থাকবে আগামীকাল, তাকে নিয়েই চিন্তা করব।’

তবে কি নেটে যিনি ভালো করবেন তিনিই থাকবেন একাদশে? এখানেও পরিষ্কার উত্তর দিলেন না প্রধান নির্বাচক ‘নেটে না, এটি একটি প্রক্রিয়া আছে। টিম ম্যানেজমেন্টের একটা চিন্তা ভাবনা আছে। পরিকল্পনা আছে। সেসব নিয়ে আমরা বসব। তারপর ঠিক করব।’

স্কোয়াডে অনেক স্পিনার থাকলেও একাদশ গড়তে সমস্যা দেখছেন না মিনহাজুল, ‘এতগুলো কোথায়?৪ জন (আসলে ছয়জন) স্পিনার আছে। অনেকগুলো কোথায়? ৩ জন তো খেলেই আমাদের। একজন হয়ত বাইরে থাকবে। অনেকগুলি তো নেই। দলের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার হবে, সেটি করা হবে।’

Comments