মুমিনুলের দারুণ সেঞ্চুরি

টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। মাত্র ৯৬ বলে ১৩ চারে সেঞ্চুরি করেই নিজের স্বভাবেই বাইরে গিয়ে বাড়তি উদযাপন করতে দেখা গেছে তাকে। এ
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। মাত্র ৯৬ বলে ১৩ চারে সেঞ্চুরি করেই নিজের স্বভাবের বাইরে গিয়ে বাড়তি উদযাপন করতে দেখা গেছে তাকে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল। টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিমের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।

টেস্টে মুমিনুলের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি, দ্বিতীয়। এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী শুরু খেলতে থাকেন এই বাঁহাতি, ক্রিজে ছিলেন সাবলীল। উইকেটের চারপাশ থেকেই বের করেছেন চোখ ধাঁধানো সব চার।  মুমিনুলের সেঞ্চুরির সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে দলও। দুই উইকেটে ২৫০ রান করে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।  তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-মুমিনুলের জুটিতে এসে গেছে ১৩০ রান। মুমিনুলের ১০৭ রানের সঙ্গে ৪৭ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুশফিক। 

মুমিনুলের ফিফটি



দারুণ এক ফিফটি পেয়েছেন মুমিনুল হক। তামিমের আউটের পর ক্রিজে এসে খেলছেন আনায়াসে। দ্রুত রান বের করে ৫৯ বলে ৮ চারে করে ফেলেন পঞ্চাশ। টেস্টে মুমিনুলের এটি ১৩ নম্বর ফিফটি।

লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুটাও ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। চারে নামা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটিতে বাড়ছে রান। মুমিনুলের ফিফটির সময় বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ১৫৭।

লাঞ্চের আগেই ইমরুলের উইকেট

প্রথম সেশনটা যখন শেষ হতে যাচ্ছিল দারুণভাবে, তখনই গড়বড়। লাঞ্চের ঠিক আগের ওভারে আউট হয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস। এই নিয়ে কতবার লাঞ্চের ঠিক আগের ওভারে উইকেট হারালো বাংলাদেশ! গবেষণার বিষয়।

লাকসান সান্দাকের চতুর্থ বলটা বলের লাইনে না গিয়ে খেলতে গেলেন ইমরুল কায়েস। আর দুই বল খেললেই অবিচ্ছিন্ন থেকে যেতে পারতেন লাঞ্চে। পারলেন না তিনি। ঘুরতে থাকা বল তার পায়ে লাগলে এলবডব্লিওর জোরালো আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া। তখনই লাঞ্চ বিরতি। বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১২০। ৭৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন ইমরুল কায়েস। শুরুতে ধুঁকতে থাকা ইমরুল সময়ের সঙ্গে থিতু হচ্ছিলেন। মেলছিলেন ডানা। তবে ফিফটির আগেই তাকে উপড়ালেন সান্দাকান।

টার্নিং পিচে টস জিতে দারুণ শুরু পাওয়া বাংলাদেশ তারপরও প্রথম সেশনে এগিয়ে। ৩৯ বলে ৩ চারে ২৬ রান করে ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক।

এর আগে বাংলাদেশের চমৎকার শুরুর হিরো  তামিম ইকবাল। ওয়ানডে মেজাজে তার ফিফটিতে রান আসছিল দ্রুত। ওদিকে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইমরুল কায়েস। ৫৩ বলে ৫২ রান করে বড় কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া তামিম ফেরেন দিলরুয়ান পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে।  

তামিমের বিদায়

দিলরুয়ান পেরেরা আক্রমণে আসার পরই তার উপর চড়ে বসেছিলেন তামিম ইকবাল। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারছিলেন চার-ছক্কা। ওই পেরেরাই পরে আউট করে দিয়েছেন তামিমকে। মাত্র ৪৬ বলে ফিফটি করার পর ৫২ রানে দিলরুয়ান পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম। 



শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকেন তামিম। সঙ্গী ইমরুল কায়েস ছিলেন উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায়। দুদিকে ভারসাম্য রক্ষা করে প্রথম ঘন্টায় দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে প্রথম ঘন্টার বিরতির পর পরই তাদের ৭২ রানের জুটি ভাঙে। 

পঞ্চাশে যেতে ৬ চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম। লাহিরু কুমারাকে তিন চার মেরে শুরু। পরে অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাকে বেরিয়ে এসে পিটিয়েছেন চার-ছক্কা। প্রথম ঘন্টার পর পেরেরার ভেতরে ঢুকা বল ব্যাড-প্যাডে ফাঁক দিয়ে ভেঙ্গে দেয় তামিমের স্টাম্প। 

আগ্রাসী শুরু



টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বস্তির শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চাশ রানের জুটিতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস নির্বিঘ্নে পার করে দিয়েছেন প্রথম ১০ ওভার । শুরু থেকেই বেশ আগ্রাসী খেলছেন তামিম। লাহিরু কুমারাকে তিন চারে শুরুর পর অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাওকেও বেরিয়ে এসে মেরেছে চার-ছক্কা। তাতে ১০ ওভারের আগেই দলের রান পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বস্তির শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চাশ রানের জুটিতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস নির্বিঘ্নে পার করে দিয়েছেন প্রথম ১০ ওভার । শুরু থেকেই বেশ আগ্রাসী খেলছেন তামিম। লাহিরু কুমারাকে তিন চারে শুরুর পর অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাওকেও বেরিয়ে এসে মেরেছে চার-ছক্কা। তাতে ১০ ওভারের আগেই দলের রান পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ।

দশম অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টস ভাগ্যে হাসলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের হয়ে প্রথমবার টস করতে নেমে জিতেছেন তিনি। টার্নিং পিচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের।

ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করা সানজামুল দেশের ৮৭তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেলেন।  সানজামুল সহ বাংলাদেশের একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার তিনজন। সঙ্গে পেসার কেবল মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কা খেলাচ্ছে দুই পেসার আর তিন স্পিনার। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিনেশ চান্দিমাল, দিমুথ করুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস, নিরোশান ডিকভেলা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রঙ্গনা হেরাথ, সুরাঙ্গা লাকমাল, লাকসান সান্দাকান, দিলরুয়ান পেরেরা, লাহিরু কুমারা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago