‘এর উত্তর আমার কাছে নাই’

দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর সেঞ্চুরিটাই রাখলেন এগিয়ে। তবে যে প্রথমটাতে করেছেন বাড়তি উদযাপন? উত্তরটা সবাই জানেন। তবু মুমিনুলের মুখ থেকে যদি কিছু বেরোয়। পেশাদারিত্বের জায়গায় জমাট থাকা মুমিনুল এমন বাউন্সারও হেসেই ছেড়ে দিলেন।
ম্যাচ শেষে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে মুমিনুল হক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কোন ইনিংসের সেঞ্চুরিটাকে বেশি এগিয়ে রাখবেন? ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলো ম্যাচ সেরা মুমিনুল হককে। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর সেঞ্চুরিটাই রাখলেন এগিয়ে। তবে যে প্রথমটাতে করেছেন বাড়তি উদযাপন? উত্তরটা সবাই জানেন। তবু মুমিনুলের মুখ থেকে যদি কিছু বেরোয়। পেশাদারিত্বের জায়গায় জমাট থাকা মুমিনুল এমন বাউন্সারও হেসেই ছেড়ে দিলেন।  

বাংলাদেশের কোচ থাকার সময় তাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মুমিনুলের বাউন্সারে নড়বড়, অফ স্পিন খেলতে পারেন না এমন বিস্তর দুর্বলতা তোলে ধরেছিলেন তখনকার টাইগার কোচ। সেই হাথুরুসিংহে এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তার দলের বিপক্ষেই চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পর চুপচাপ স্বভাবের এই ব্যাটসম্যান করেন খ্যাপাটে উদযাপন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ম্যাচ বাঁচানো ১০৫ রান। এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশিও তিনিই। কোনটা এগিয়ে রাখবেন?

‘আমি দ্বিতীয় ইনিংসেরটা এগিয়ে রাখব। কারণ ওটা ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস ছিলো।’

তাহলে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরির পর যে বাড়তি উদযাপন করলেন?

‘আসলে ওইরকম ভাবে চিন্তা ভাবনা করিনি... দ্বিতীয় ইনিংসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে আপনি যে প্রশ্ন করলেন এর উত্তর আমার কাছে নাই’ (হাসি)

বাকি অংশে পাশে বসে থাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন তার সেরা পারফর্মারকে। পেশাদারিত্বের জায়গায় প্রকাশ্যে অনেক কিছুই বলা সম্ভব না। জবাব দেওয়া যায় ব্যাটে। তবে ব্যাটের জবাব দেওয়ার প্রশ্নই এড়িয়ে গেলেন মুমিনুল, ‘ওইরকম কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। কোন প্লেয়ারের পক্ষেই এরকম চিন্তা ভাবনা করা সম্ভব না যে টার্গেট করে এটা ওটা করব।’

টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আলো ছড়ানো মুমিনুল গড় নিয়ে গিয়েছিলেন অবিশ্বাস্য জায়গায়। শেষ সাড়ে তিন বছরে সেটে নেমে এসেছে অনেক। দায়িত্বের সময় মুমিনুলের প্রতি বৈরি মনোভাব ছিল বলে অভিযোগ হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। সেই কোচের দায়িত্ব পর কি তবে গা ঝাড়া দিয়ে নতুন শুরু পেলেন? মুমিনুল ওই সময়টাকেও দেখছেন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে।

‘আমার কাছে মনে হয় আমার জীবনের জন্য ওই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনারা কীভাবে ভাবেন জানি না তবে আমার কাছে মনে হয় এটা আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মানসিকতার একটা বদল এসেছে, পরিশ্রমটা আরও বাড়ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

In order to improve law and order, the government last night gave the power of magistracy to commissioned army officers for 60 days.

2h ago