‘ভিআইপিদের জন্য পৃথক লেন অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক’

​ভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাস্তায় পৃথক লেন করাকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

ভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাস্তায় পৃথক লেন করাকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গতকাল এক প্রেস বিবৃতিতে ওই প্রস্তাবের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, এমনটি করা হলে পরিষ্কারভাবে তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার।

টিআইবি মনে করে, ভিআইপি ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীসহ বিশেষ একটি গ্রুপের জন্য পৃথক লেন করে অসাংবিধানিক ও অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হলে তা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করি সরকার এ ধরনের কাজে উৎসাহ দেখাবে না।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ডিসেম্বর মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জরুরি সেবার যানবাহন ও ভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাজধানীর রাজপথে আলাদা লেন করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়। এ প্রস্তাবের ওপর ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ মতামত তৈরির কাজ করছে।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পৃথক লেন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে ভিআইপিরা ডান দিক দিয়ে যান, উল্টো দিক দিয়ে যান, নানা রকম ঝামেলা হয়। বিশেষ করে জরুরি সেবার জন্য এ লেনটা জরুরি।”

পৃথক লেনের যৌক্তিকতা নিয়ে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পদ বা পরিচয় যাই হোক না কেন আইন সবাই মেনে চলতে বাধ্য। তাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে যৌক্তিকতার কথা বলেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, “পৃথক লেন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এই বক্তব্যই প্রমাণ করে ভিআপিদের অনেকেই নিয়মিত ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন।” তিনি আরও বলেন, এই প্রবণতা বন্ধ করতে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন পরিবহন ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago