ন্যায়বিচার হলে আমি বেকসুর খালাস পাবো: খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামীকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) দেওয়ার প্রাক্কালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেন যে ন্যায়বিচার হলে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।
Khaleda Zia at Gulshan press conference
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি: বিএনপির সৌজন্যে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামীকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) দেওয়ার প্রাক্কালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেন যে ন্যায়বিচার হলে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।

আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপি প্রধান তাঁর গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই দাবি করেন।

যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছেন উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “আমাকে জেল বা সাজার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। আমি মাথা নত করবো না। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে পিছু হটবো না। জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজনীতির ময়দান ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।”

তাঁর বক্তব্যে বলেন, “দেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই এই জাতিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে দিয়েছিলো। তাই দেশ স্বাধীনের পর জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন-ব্যবস্থা কায়েম করা হলে এ দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের জনগণ তাদের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র এবং অধিকারগুলো আজ আবার হারিয়ে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সম্পর্কে বিএনপি নেত্রী বলেন, “আপনাদের খালেদা জিয়া কোন অন্যায় করেনি। কোন দুর্নীতি আমি করিনি।” জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের সঙ্গে তিনি কখনো কোনভাবে জড়িত ছিলেন না বলে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এ মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়িত করা হয়েছে।”

তাঁর মন্তব্য, “এ রায়কে কেন্দ্র করে করে শাসক মহল আমাদের চেয়ে বেশি অস্থির ও ভীত হয়ে জনগণের চলাচলের অধিকার, প্রতিবাদের অধিকার, সভা-মিছিলের সাংবিধানিক অধিকার প্রশাসনিক নির্দেশে বন্ধ করা হচ্ছে।” সরকার সারাদেশে বিভীষিকা ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“আদালত রায় দেওয়া বহু আগে থেকেই শাসক মহল চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছে আমার জেল হবে। যেন বিচারক নন, ক্ষমতাসীনরা রায় ঠিক করে দিচ্ছে,” যোগ করেন তিনি।

এর আগে দেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “তথাকথিত উন্নয়নের নামে শোষণ, বঞ্চনা, লুটপাট ও অত্যাচারের এক দুঃসহ দুঃশাসন আজ জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছে। এই স্বৈরশাসন জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

তিনি বলেন, অন্যায় অবিচার, শোষণ-লুণ্ঠনের প্রতিবাদের সব পথ তারা বন্ধ করে দিয়েছে। অপহরণ, গুম, খুনের এক ভয়াবহ বিভীষিকা বাংলাদেশে ছেয়ে গেছে। অপমানের ভয়ে নাগরিক সমাজ আজ স্বাধীন মত প্রকাশের সাহস হারিয়ে ফেলেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

“বাংলাদেশের মানুষ প্রহসন নয়, সত্যিকারের নির্বাচন চায়। তেমন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি বলেই আজ আমাদের ওপর এতো জুলুম-নির্যাতন, এতো মিথ্যা মামলা,” বলেন বিএনপি নেত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago