সংঘাতের আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের প্রাক্কালে সংঘাতের আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানী।
সকাল থেকেই রাজধানীতে যান ও জন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খোলেনি অনেক দোকানপাট।
গণ পরিবহনের স্বল্পতার কারণে অফিসগামী মানুষদের বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। তবে যারা যানবাহনে উঠতে পেরেছেন তারা ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারছেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে রাজধানীর একজন নিত্য যাত্রী জানান, উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজারে যেতে অন্যান্য দিন এক-দেড় ঘণ্টা লেগে গেলেও আজ ২০ মিনিটেই চলাচল করা যাচ্ছে।
এদিকে, অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ‘পাঠাও’ এবং ‘বাহন’ আজ তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে।
কঠোর নিরাপত্তার চাদরে রাজধানীসহ সারাদেশ ঢেকে ফেলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কোনো রকমের সংঘাত এড়াতে আধাসামরিক বাহিনী বিজিবির সদস্যরা সড়ক-মহাসড়কগুলো পাহারা দিচ্ছে।
আমাদের একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, “মতিঝিলে যান ও জন চলাচলের স্বল্পতা দেখে মনে হচ্ছে আজ হরতাল পালিত হচ্ছে।” অথচ প্রতি কর্মদিবসে রাজধানীর এই প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাটি যানজটে স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম হয়।
একইভাবে, রাজধানীর ব্যস্ততম নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল নেই বললেই চলে।
আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কিছু গণপরিবহন এবং সিএনজি-চালিত অটো রিকশা ক্যাম্পাস এলাকায় দেখা গেছে।
তিনি আরো জানা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যদের ক্যাম্পাসের সড়কগুলোর পাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
তবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ করলেও রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করতে দেখা যায়।
Comments