রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, জাতিসংঘের উদ্বেগ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ইন দিন গ্রাম
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ইন দিন গ্রামে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এই ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়। ছবি: রয়টার্স

​রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি গ্রামে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের যে ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে তাতে “উদ্বেগ” প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, ওই প্রতিবেদনে যে নৃশংস ঘটনার কথা উঠে এসেছে তা থেকে রাখাইনের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানোর গুরুত্ব বোঝা যায়।

“সর্বশেষ ওই রিপোর্টের ব্যাপারে আমরা অবগত রয়েছি। রিপোর্টে হত্যাযজ্ঞের যে বিবরণ উঠে এসেছে তা উদ্বেগজনক। রাখাইনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যে ব্যাপকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে এ থেকে আরেক বার প্রমাণিত হল।” রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এর জন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উত্তর রাখাইনের ইন দিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা ও গণকবর দেওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলা বয়, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সকালে ইন দিন গ্রামের ১০ জন রোহিঙ্গাকে বেঁধে ফেলে তাদের সামনেই প্রতিবেশীদের দিয়ে কবর খোঁড়া হয়। পরদিন ওই ১০ জনের সবাইকে গণকবরটিতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্তত দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। অন্যদের গুলি করে নিরাপত্তা বাহিনী।

এমনকি ওই গোরখোদকদের সাথেও কথা বলেছে রয়টার্স। তারা হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নিধনযজ্ঞের অংশ হিসেবে এই গণহত্যা চালানো হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার করা সম্ভব।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women's football team qualify for Asian Cup

Bangladesh women's football team made history as they qualified for the AFC Women's Asian Cup for the first time. 

27m ago