খুনসুটি ভালোবাসা
ছোট পর্দার দুই সফল তারকা নওশীন-হিল্লোল দু’জনের পছন্দ-অপছন্দ অনেক ক্ষেত্রে এক রকম না হলেও দু’জনে-দু’জনার হয়ে থাকতে চান। ছোটখাটো ভুলত্রুটি পাশ কাটিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চান। আবার অনেক ভুলত্রুটি শোধরানোর পরামর্শ নিয়েও হয়ে যায় দ্বন্দ্ব। ছোট ছোট খুনসুটি, তর্কাতর্কি কাটিয়ে ভালোবাসায় পূর্ণ করে কাটিয়ে দিলেন সম্পর্কের সাতটি বছর। হিল্লোল-নওশীনের সঙ্গে গল্প হলো তাদের ভালোবাসা নিয়ে।
আনন্দধারা : সম্পর্কে এতটা বছর পার করলেন একসঙ্গে, কেমন কাটছে দু’জনের?
নওশীন : ২০১১ সাল থেকে সম্পর্কের শুরু, বিয়ে হয়েছে ৫ বছর হবে। তারিখটা ছিল ১ মার্চ।
হিল্লোল : বিয়ের ৫ বছর হলেও আমরা শুরু থেকেই একসঙ্গে সময়গুলো পার করেছিলাম। একসঙ্গে প্রায় প্রতিদিন শ্যুটিং করছি, সারাদিন একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। রাতে শ্যুটিং শেষে ওকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসছি, এভাবে সারাক্ষণ একসঙ্গেই থাকা হতো। তখন আমি একা থাকতাম, বাসা খালি ছিল। আবার ঘরের ফার্নিচারগুলোও তখন একসঙ্গে অল্প অল্প করে কেনা হচ্ছিল।
নওশীন : আসলে আমাদের সম্পর্কের এক পর্যায়ে আমরা যখন বিয়ে করব ভাবছিলাম, তখন আমাদের দু’জনেরই পরিবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। তাই পরিবারের সবার মতামত ও কথা পাকা হওয়ার পর আমরাই আরো একটু সময় নিচ্ছিলাম। তখন কাজের চাপ একটু বেশি ছিল আর সেই সঙ্গে আরো একটু গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। তাছাড়াও যে মাসে প্রেমটা হলো, সে মাসেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাই উভয়ের বাসাতেই উভয়ের আসা-যাওয়া ছিল। পরিবারের সবার সঙ্গে ভাব বিনিময়টাও তাই বেশ ভালো হলো। আমাদের বিয়ের পরই ওর বোনের বিয়ে হলো। ওর বোনের প্রস্তুতিও অনেক আগেই শুরু হয়েছিল, সেখানেও আমি ছিলাম। ঘরে আসতে দেরি হলেও সম্পর্কের শুরু থেকেই সংসার গুছিয়েছি দু’জনে, ভালো কাটছে দিন।
আনন্দধারা : সংসার জীবনে অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। আপনাদের ভালোবাসার সংসারেও এসব ঝামেলা প্রাধান্য পাচ্ছে কি?
নওশীন : কিছু জিনিস আছে, না চাইলেও গিলতে হয়। বিয়ে, সংসার এমনই একটা বিষয়। মাঝে মাঝে মনে হয় খুব বড় একটা ভুল। এমন ভুল আমি কেন করলাম? এটা হয়তো আমার সারা জীবনই মনে হতে থাকবে। সবারই কখনো না কখনো এ রকম মনে হয়, কেন বিয়ে করলাম, কেন ওর সঙ্গে থাকলাম?
হিল্লোল : মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো সময়ে...
নওশীন : হ্যাঁ, এ রকম হয় আবার পাশাপাশি এটাও মনে হবে, আমার সংসারটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার পুরো পরিবার আমেরিকাতে, আমি কিন্তু আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে এখানে। এটা শুধু আমার ক্যারিয়ারের জন্য তা নয়, আমরা দু’জনে একসঙ্গে থাকব। ওই ঝগড়াঝাঁটি, চড়াই-উৎরাই চলতে থাকে কিন্তু তা এখনো এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছেনি যে, আমরা দু’জন দু’জনকে ছেড়ে চলে যাব। এমনকি রাগ করে বাসা থেকে চলে যাওয়া- এ জিনিসটা আমাদের মধ্যে হয়নি।
হিল্লোল : (প্রশস্ত হাসি নিয়ে) এজন্যই তো বলা হয়েছে, দিল্লিকা লাড্ডু না খাইলেও আফসোস, খাইলেও আফসোস।
নওশীন : আমার ধারণা এক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের। বাসাটা তো আমার আর ওরও। তাই গেলে তুমি যাও, আমি যাই কিন্তু আমরা কেউই যাব না। ঝগড়ার মুহূর্তে এভাবে কথাগুলো হয়, তবে আমরা দু’জনেই সংসারটাকে ভালোবাসি এবং সংসারটা করতে চাই।
হিল্লোল : ঝগড়া বেশি হলে মাঝে মাঝে ঘর ছেড়ে অন্য ঘরে যাওয়া হয়।
নওশীন : ওটা তুমি যাও, আমি কখনো আমার রুম ছেড়ে যাইনি।
আনন্দধারা : কার রাগ বেশি দু’জনের মধ্যে?
নওশীন : আমার রাগ!
হিল্লোল : আমার রাগটা একটু কম হলে মাঝে মাঝে যে বিবাদ হচ্ছে তাও হয়তো হতো না।
নওশীন : (হিল্লোলকে) কারণ তুমি এক্ষেত্রে চুপ থাকো, সবকিছু হজম করে নেয়ার ক্ষমতা রাখ। মেয়েরা তো এমনিতেই একটু জেদি হয়, অল্পতেই রেগে যায় ওই আর কী।
আনন্দধারা : এখন মিডিয়াতে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাগুলো বেশি চোখে পড়ছে, কেন ঘটছে, কী মনে করেন?
নওশীন : শুধু মিডিয়াতে বিবাহ বিচ্ছেদ বেশি হচ্ছে না। আমার বন্ধু-বান্ধবী বা অনেক কাছের মানুষ সম্পর্কে বলতে পারব, যাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু তারা মিডিয়ার কেউ নন। মিডিয়ার বাইরেও প্রচুর বিচ্ছেদ হচ্ছে। মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের ক্ষেত্রে, সব মানুষই খবরটা জানছে। যেমন আপনি নওশীনকে চেনেন। তাই সে ব্যথা পাক, খুশি হোক যা-ই হোক সবই আপনি জানছেন। কিন্তু আমার বোনকে চেনেন না, তার ঘটনা আপনি জানবেন না। মিডিয়ার মানুষের খবর বেশি হয় বলে আপনারা ওদের কথা জানেন। মিডিয়াতে বাইরের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ কমই হয়।
আনন্দধারা : সম্প্রতি অনেক আলোচিত জুটি ভেঙেছে। তাদের ভালোবাসার গল্প মানুষ করলেও সংসার টিকছে না, এটার কারণ কী মনে হয়?
নওশীন : মিডিয়া নয়, ইদানীং বিবাহ বিচ্ছেদ কেন বাড়ছে সেটা নিয়ে বলতে পারব। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কারো নাম নেব না। কারণ আমরা সবাই মানুষ। আমরা নিজেরা নিজেদের ক্যারিয়ার, ইগো নিয়ে ব্যস্ত। এখনকার সময়টা ভিন্ন রকম। আগে আমাদের মা-খালাদের সময় তারা বেশিরভাগই পেশাজীবী ছিলেন না। সংসারটাকেই প্রাধান্য দিতেন সবকিছু ছেড়ে। এ জিনিসগুলো এখন কমে গেছে। সবাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত এবং মেজাজটাও একটু তাড়াতাড়ি চড়ে যায় সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ফলে। আমি বলব, আমরা অস্থির জেনারেশনের মানুষ, পার করছি অস্থির সময়। অস্থিরতার কারণেও কিন্তু আমরা অনেক সময় হুট করে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আর আপস করতে চাই না, এটা প্রধান কারণ।
হিল্লোল : অস্থির একটা সময় যাচ্ছে সত্যিই। বাইরের দেশগুলোয় এখন আবার পরিবারকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদের এখনকার সময়ে যে জেনারেশন পড়েছে, তারা আরো কিছুদিন এগুলো নিয়ে ভুগবে। আরেকটা কারণ মনে হয়, আমরা এখন ছেলে-মেয়ে দু’জনেই টাকা ইনকাম করি। এখন নিজেদের মধ্যে এক অন্য স্বাধীনতা অনুভব করি। এই স্বাধীনতায় বাধা এলেই মনে হয়, সব বাদ, আমি তো একাই চলতি পারি। অসহিষ্ণু, অস্থির মনোভাবই সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর অন্যতম কারণ। আর মনে হয় একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম অনেক বেশি সহজ হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে তৃতীয়জনের বুদ্ধি প্রাধান্য পায়।
আনন্দধারা : এটা আপনাদের দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। প্রেমের বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও আগের বিয়ে টেকেনি। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভাঙল কেন?
হিল্লোল : মানুষ যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সে আজীবন সংসার করার চিন্তা করেই নেয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনার কারণে বিয়েটা ভাঙে। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।
নওশীন : আমার কোনো প্রেমের বিয়ে ছিল না, মা-বাবার পছন্দে বিয়ে। সংসার করার মানসিকতা নিয়েই বিয়ে করেছিলাম। আমার বাচ্চাও আছে। একটা মেয়ে যখন মা হয়, তখন সে ভালো মানসিকতার হলে অবশ্যই সন্তান-সংসারকে আগে প্রাধান্য দেবে। অনেক পরিবর্তন আসে মা হওয়ার পর। অনেক কিছু বাদ দিতে হয়। ইচ্ছে হলেই ওলট-পালট অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ওইগুলো মেনেই আমি সব গুছিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। আমি মনে করি আমার কপালে ছিল না। তাই বলে আমি মনে করি না যে, ওটা আমার ভুল ছিল। একটা সময় মনে হতো, কেন মা-বাবা এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিল। কেন আর একটু খোঁজ-খবর নিয়ে তারপর বিয়ে দিল না। আবার মনে হয় ভাগ্যে ছিল, জীবনটা এভাবে যাবে। এটা তো বদলে দেয়া যাবে না। তবে আমার ওই সম্পর্কটাকে ছোট করছি না। আমি সংসার করতে পারিনি। আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে এগিয়ে গেছি। আমি অনেক পরে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেছি। আমার আগের জীবনে মিডিয়া কোনো বাধা হয়নি।
আনন্দধারা : সম্পর্ক ভাঙার পর আপনি কি চিন্তা করেছিলেন যে নতুন করে সম্পর্কে জড়াবেন, সংসার করবেন?
নওশীন : আসলে, আমি এখনো বলব না যে, হিল্লোলের সঙ্গে আমি সারাজীবন থাকবই। দেখে নিও তোমাদের কপালে কী আছে সেটা আমরা কেউ জানি না। তখন এ ধরনের কোনো চিন্তা ছিল না। তখন আমার চিন্তা বাচ্চাকে নিয়ে। কীভাবে ওকে ভালো রাখব, কীভাবে পড়াশোনা শেষ করাব, নিজে কীভাবে ভালো থাকব। তারপর কাজ শুরু করা, ক্যারিয়ার তৈরি হওয়া। এরপর মাথা ঠাণ্ডা করে চিন্তা করা, আমার অনেক অল্প বয়সে এ সবকিছু হয়েছে, আর সামনে তো সময় পড়ে আছে। এখন নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবা যেতেই পারে। বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করার সময় তো আসলে অন্য কোনো চিন্তা মাথায় আসে না। তবে একটু সময় লাগে আবার বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, প্রায় সবাই দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেন।
হিল্লোল : আমাদের দু’জনের আগের সংসার ভাঙার ক্ষেত্রে এটা হয়নি যে, আমাদের কারো সংসার অপরের কারণে ভেঙেছে।
নওশীন : অনেক জায়গায় লেখা হয়েছে, ওর (হিল্লোলের) ঘর ভেঙেছে আমার কারণে। কিন্তু আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক হয়েছে ওর বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক পরে। আর তিন্নিকে কে চেনে না বলেন? ওদের কাছের মানুষরা সবাই তিন্নি সম্পর্কে ভালো জানেন। সে কেমন ছিল। একটা সময়ের সুপারস্টার তিন্নি। সবাই জানত তিন্নি এখন হিল্লোলের সঙ্গে আছে, না অন্য কারো সঙ্গে। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা আছে। আসলে এমন কোনো সম্পর্ক হওয়া উচিত নয়, যা সংসারের ঊর্ধ্বে। আমার যদি আগের সম্পর্ক থাকত, তবে আমি কখনই অন্য সম্পর্কে জড়াতাম না। যদি আমি মিডিয়ার নামকরা নায়িকা থাকতাম, তখনো এমন কিছু করতাম না। একজন ভালো মানসিকতার মানুষ সংসার ভাঙবে না। আর যে সংসারের মায়া রাখে না, তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা।
হিল্লোল : আমার বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়ানোর চিন্তা মাথায় ছিল না। বিচ্ছেদের কিছুদিন পর নওশীনের সঙ্গে অনেক দিনের একটা কাজ করতে হয়েছে একসঙ্গে। তখন আমি ওর জীবনধারা দেখেছি, ও আমারটা দেখেছে। একসঙ্গে কিছু সময় কাটানো হয়েছে। এরপর সম্পর্কে জড়িয়েছি।
নওশীন : আমারা যে বয়সে সম্পর্কে জড়িয়েছি, সে বয়সে একজনের সুন্দরী এবং আরেকজনের হ্যান্ডসাম হওয়া দেখে প্রেম হয় না। আমি দেখেছি, আমার আগের সম্পর্কে আমি কী পাইনি। আগের স্বামীর যে উদাসীনতাগুলো ছিল, তা কী ওর মধ্যে আছে? থাকলে ওর সঙ্গে আমার বিয়ে হতো না। ওর ক্ষেত্রেও তাই। একজন স্ত্রী, সন্তানের মায়ের ক্ষেত্রে যা সে আগে পায়নি, তা আমার মধ্যে পেয়েছে। সে জন্য আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে, সম্পর্ক হয়েছে। হিসাব-কিতাব করে বিয়ে হয় একটা বয়সে এসে। আমাদেরটাও তাই। আমার ভালো সঙ্গী আমার ছেলের বাবা হবে। তাই বিয়ে করেছি।
হিল্লোল : মানসিক প্রশান্তিতে থাকার জন্য।
আনন্দধারা : আপনারা দু’জনে এখনো কি আগের মতোই রয়েছেন?
হিল্লোল : সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুতেই পরিবর্তন হয়।
নওশীন : ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না বাইরে। তারপরও একটা উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। কিছুদিন আগেও আমাদের বেশ ঝগড়া হয়েছে খুব সামান্য বিষয় নিয়ে। আমি আমেরিকায় ফোন করে আমার পরিবারের লোকজনকে বললাম, আমি চলে আসব। ও বলছে, আচ্ছা চলে যাও। ওর ভাই-ভাবীকে বলল, তারাও বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। কারণ ওরাও জানে এর স্থায়িত্ব খুবই অল্প সময়ের, কিছু সময় পর আবার সব ঠিক। এই বিষয়টা অল্প সময় স্থায়িত্ব পাওয়াটা আসলে সংসারের প্রতি মায়া আর আমার জীবনে হিল্লোলের প্রয়োজন দুই মিলিয়েই হয়েছে। আমি আমার পাশে চাই ওকে। আমাদের মধ্যে এক ধরনের অভ্যস্ততা হয়ে গেছে।
হিল্লোল : আমার মনে হয় মায়া বা টানের চেয়েও এখানে অভ্যস্ততা বেশি কাজ করে।
আনন্দধারা : ভালোবাসার সংজ্ঞা আপনার কাছে কেমন?
নওশীন : একই সঙ্গে থাকার অভ্যস্ততা।
হিল্লোল : আমার কাছে বিশ্বাসের অনেক মূল্য। অভ্যস্ততা তো রয়েছেই, সঙ্গে বিশ্বাসও প্রয়োজন।
ছবি : শাহরিয়ার কবির হিমেল
Comments