'অপু ছাড়া পুরো বোলিং বিভাগ বাজে করেছে'

১৯৩ রান করে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো দূরে থাক ২০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পা তখনও আরও ভারি। কোনমতে মাঠ ছাড়লেন। পুরষ্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সংবাদ সম্মেলনেও একই মুড। যেন চুপ থাকতে পারলেই বাঁচেন।
ম্যাচ হারার পর হতাশ বাংলাদেশ দল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৯৩ রান করে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো দূরে থাক ২০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পা তখনও আরও ভারি। কোনমতে মাঠ ছাড়লেন। পুরষ্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সংবাদ সম্মেলনেও একই মুড। যেন চুপ থাকতে পারলেই বাঁচেন।

টি-টোয়েন্টি এর আগে এত রান করেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড বিপক্ষে ১৯০ ছিল সর্বোচ্চ। এবার আরও ৩ রান বেশি। তবে শ্রীলঙ্কানদের ব্যাটিং দেখে মনে হলো অন্তত ৪০ রান কম। সৌম্য সরকারের এনে দেওয়া ঝড়ো শুরুর পর কিছুটা কম হয়েছে মানলেন অধিনায়কও। তবে এত বাজে বোলিংয়ের উপর ব্যাটিংয়ের খামতি খোঁজার উপায় কই, 

‘২০০–এর ওপরে গেলে ভালো হতো। কিন্তু এটা ভালো স্কোর। ব্যাটসম্যানরা তাদের কাজ করেছে। বোলাররা ভালো লেন্থে  বল করতে পারেনি। শুরুতেও উইকেট নিতে পারেনি।’

‘এই উইকেটে ঠিক লেন্থে  বোলিং করা গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ভালো ছিল। সুন্দর ব্যাটে আসছিল। আমরা ভালো লেন্থে  বোলিং করতে পারিনি।’

অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ছাড়া বাকি সব বোলারই ছিলেন বাজে বোলিংয়ের প্রতিযোগিতায়। সবচেয়ে করুণ দশা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। নাজমুলের করা প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে পেয়েছিলেন তিনি। ওই ওভারে ১৯ রান নিয়ে মোমেন্টাম দিয়ে দেন লঙ্কানদের। পরে আরেক ওভার বল পেয়েছিলেন। খেয়েছেন বেদম পিটুনি। দুই ওভার থেকেই দিয়েছেন ৩৩ রান। কেবল একটাই ডট বল করতে পেরেছেন এই পেসার। তবু তাকে আগলে রাখলেন অধিনায়ক,‘সাইফউদ্দিনকে নিয়ে কনসার্ন নয়। হয়তো নিজের  পরিকল্পনাগুলো কাজে  লাগাতে পারেনি।  ফিল্ড সেটআপ যেটা ছিল, যেটা চাচ্ছিলাম হয়তো সেই লেন্থ অনুযায়ী বোলিং করতে পারেনি। আশা করি সে এটা নিয়ে কাজ করব।’

‘খেলতে খেলতেই শিখবে। অসুবিধা নেই। সাইফউদ্দিন একদিন  ম্যাচ জেতাবে বাংলাদেশকে, এটা বিশ্বাস  করি। যত তাড়াতাড়ি ভুলগুলো থেকে যদি শিখতে পারে, ওর জন্য ভালো, আমাদের দলের জন্য বেটার। ওকে একা দোষ দেওয়া ঠিক হবে না’

একা অবশ্য সব দোষ নয় সাইফুদ্দিনের। উদার হস্তে রান বিলিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান আর রুবেল হোসেনও। ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। রুবেল তো ২২ বল করেই ৫৩ রান দিয়েছেন। নিতে পেরেছেন একটাই উইকেট। তবে কারো দিকে আঙুল তুলতে চাইছেন না মাহমুদউল্লাহ,

‘যখন জিতি দল হিসেবে জিতি, হারলেও দল হিসেবে  হারি। কারও দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়। অপু বাদে পুরো বোলিং বিভাগ বাজে করেছে। বোলিং নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago