খালেদা জিয়া দুর্নীতির শাস্তি ভোগ করছে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে শাস্তি ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
sheikh hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে শাস্তি ভোগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বিএনপি নেত্রী প্রসঙ্গে বলেন, “(খালেদা জিয়া) এতিমের ভাগ এতিমকে দিতে পারে নাই। সেই টাকা তার নিজের কাছে রেখে দিয়েছে। আর তারই শাস্তি আজকে সে ভোগ করছে।”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “সেই এতিমখানার ঠিকানাটা কোথায়? সেখানে কয়জন এতিম আছে? এতিমরা কি একটা টাকাও পেয়েছে এ পর্যন্ত?” এতিমের টাকা খালেদা জিয়া ভোগ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “এতিমের টাকা সুদ-আসলে বেড়েছে, তা ভোগ করেছে খালেদা জিয়া, তার পরিবার আর তার দলের লোকজন। এতিমের তো কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।… তাদেরকে বঞ্চিত করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা উন্নয়ন করি, তারা (বিএনপি) ধ্বংস করে। আমরা গাছ লাগাই, তারা গাছ কেটে ফেলে। আমরা রাস্তা বানাই, তারা রাস্তা কেটে ফেলে।”

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে তারা মানুষের কী কল্যাণ করতে পারে? তিনি বলেন, “আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করি। আমরা বিধবা ভাতা দিচ্ছি, বয়স্ক ভাতা দিচ্ছি। অন্তঃসত্ত্বা দরিদ্র মহিলাদের ভাতা দিচ্ছি।… আমরা দুঃস্থ মানুষের সেবায় কাজ করি। আমরা যেখানে জনগণের কল্যাণে কাজ করি সেখানে তারা (বিএনপি) মানুষের সম্পদ লুটে খায়।”

রাজশাহীতে আইসিটি পার্ক করে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “(এর ফলে) অনেক ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। দেশে-বিদেশে চাকরি হবে।”

“আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপক হারে করেছি। এই রাজশাহীতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করে দিয়েছি। আজকে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। সেই সাথে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পায়,” যোগ করেন তিনি।

২০২১ সালে মধ্যে কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না এমন আশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সব ঘরেই আমরা আলো জ্বালবো। যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে আমরা সোলার প্যানেল করে দিচ্ছি। বায়োগ্যাস করে দিচ্ছি। তাছাড়াও, বিদ্যুৎ আমরা ভারত থেকে আমদানি করছি। আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছি। কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে দিচ্ছি। যাতে বিদ্যুতের কোনো সমস্যা না থাকে।”

তাঁর মতে, “আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের উন্নতি। এই উন্নতির কাজই আজকে আওয়ামী লীগ করে যাচ্ছে। এই উত্তরবঙ্গে এক সময় মঙ্গা হতো, মানুষ কাজ পেতো না। আজকে সেই মঙ্গা নাই। মানুষ এখন দুবেলা খেতে পারে। সে ব্যবস্থা আল্লাহর রহমতে আমরা করে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের উন্নয়ন হয়, কল্যাণ হয়। আর বিএনপির কাজটা কী? লুটে খাওয়া। কেউ যদি এতিমের টাকার লোভ সামলাতে না পারে তো সে দেশের মানুষকে দিবে কী? … এরা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে গেছে।”

দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “নূহ নবীর আমলে বিপদ থেকে রক্ষা করেছে নৌকা। এই নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই নৌকা উন্নয়ন দিয়েছে।”

“যে উন্নয়ন করে যাচ্ছি সেই উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে। মানুষ যেন খেয়ে-পড়ে সুখে থাকে। মানুষ যেন শান্তিতে থাকে। আমরা দেশকে উন্নত করবো, সমৃদ্ধশালী করবো, ক্ষুধামুক্ত করবো, দারিদ্রমুক্ত করবো। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে মর্যাদার সাথে চলবো,” যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

53m ago