চারস্তরের নিরাপত্তা এড়িয়ে মমতার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল যুবতি

চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সভাস্থলে উঠে মমতার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন স্থানীয় এক যুবতি। যদিও যুবতির আরেক বোনকে নিরাপত্তারক্ষীরা মঞ্চের নিচে আটকে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
রাবেয়া খাতুন
চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সভাস্থলে উঠে তার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন স্থানীয় এক যুবতি। ছবি: স্টার

চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সভাস্থলে উঠে মমতার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন স্থানীয় এক যুবতি। যদিও যুবতির আরেক বোনকে নিরাপত্তারক্ষীরা মঞ্চের নিচে আটকে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সভা চলার সময় আকস্মিক এমন ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রীতিমত ক্ষুব্ধ এবং বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। আর সেই কারণে সভায় দাঁড়িয়ে তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকলকে তিরস্কার করতে ছাড়েননি মমতা।

আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) মমতা ব্যানার্জি নিয়মিত জেলার প্রশাসনিক বৈঠকের অংশ হিসেবে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের হেমতাবাদে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। তখন স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা। মুখ্যমন্ত্রী যখন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুরু করেন, তখন হেমতাবাদের বাসিন্দা রাবেয়া খাতুন নামের এক যুবতি মমতার পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন এবং কেঁদে দেন। তাৎক্ষনিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সামলে নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেখলেন তো আপনাদের গাফলতিটা কোথায়। তবে রাবেয়ার বোন আফসারা বেগমকে নিরাপত্তারক্ষীরা আগেই আটকে দেয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভারতের জেডপ্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন এসপি ও দুজন ডিএসপি পদমার্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা। এই নিরাপত্তা বাহিনীতে রয়েছেন ১০০ জন অস্ত্রধারী পুলিশও। যেখানে তিনি সফর করেন সেই জেলা কিংবা মহানগর পুলিশের প্রধান, সংশ্লিষ্ট এলাকার গোয়েন্দা প্রধান ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরাও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর ৫০ জন সদস্য নিযুক্ত রয়েছেন।

তবে জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। পুলিশের একটি সূত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ওই দুই যুবতির বাবা জমিজমা বিরোধের জেরে খুন হয়েছিলেন। এরপর সেই ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে পৌঁছায়। তিনি রাবেয়াকে একটি চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। এমনকী, সরকারি প্রকল্পের আওতায় একটি বাড়িও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এরপরও কেন ওই যুবতি এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে উঠে তাকে বিব্রত করলেন সেটিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “এইভাবে চাইলে হবে না। যারা আগামীতে এমন করবেন তাদের আর কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না।”

শেষ খবরে জানা গিয়েছে, ওই দুই বোনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago