রোহিঙ্গা নির্যাতন নিশ্চিত ‘গণহত্যা’: নোবেল বিজয়ী মেরেইড ম্যাগুয়ার

মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে তাকে নিশ্চিতভাবে “গণহত্যা” বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাজ্যের মেরেইড ম্যাগুয়ার।
Mairead Maguire
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী যুক্তরাজ্যের মেরেইড ম্যাগুয়ার। ছবি: স্টার

মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে তাকে নিশ্চিতভাবে “গণহত্যা” বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী যুক্তরাজ্যের মেরেইড ম্যাগুয়ার।

এ কারণে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিসি) তোলার দাবিও করেছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের এই মানবাধিকার কর্মী।

কক্সবাজারে শরণার্থী রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলার পর ম্যাগুয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে যে নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি তাদের সবাই জানিয়েছেন যে তারা তাদের পরিবারকে হারিয়েছেন। তাদের একজন বলেছেন, মিয়ানমারের সেনারা তার সন্তানকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করেছে।”

“এটি অবশ্যই নিশ্চিতভাবে গণহত্যা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই গণহত্যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী,” যোগ করেন এই নোবেল বিজয়ী।

তাঁর মতে, “রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ও দেশটির ইতিহাস থেকে ক্রমান্বয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ম্যাগুয়ার আরো বলেন, “মিয়ানমার সরকারের এই গণহত্যা প্রক্রিয়াকে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তোলা হবে। যারা এই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিচার করা হবে।”

ম্যাগুয়ারের সঙ্গে অন্য দুজন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইরানের শিরিন এবাদি এবং ইয়েমেনের তাওয়াক্কল কারমান কক্সবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শরণার্থী শিবির ঘুরে এই নোবেল বিজয়ীরা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীদের অবস্থা জানার পাশাপাশি অপরাধীদের বিচারের দাবি করছেন।

ফেসবুকে এ পোস্টে বলা হয়েছে, “আমরা সচক্ষে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখলাম। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি যারা ২০১৭ সালের আগস্ট হামলার ছয় মাস আগে এসেছেন।”

পোস্টটিতে আরো বলা হয়েছে, “শরণার্থীরা সহিংসতার ঘটনাগুলো আমাদের বলেছেন। ছেলেদেরকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাহসীরা তাদের সন্তানদের পিঠে নিয়ে নদী পেরিয়ে এসেছেন।”

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে জাতিগত হত্যার শিকার হয়ে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা গত আগস্ট হামলার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago