মিয়ানমারের রাখাইন বর্তমান বিশ্বের কসাইখানা: জাতিসংঘ

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে “ভয়াবহ কসাইখানায়” পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন।

রাখাইনসহ বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করলেও শুরুতেই এসব প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো কিছুই করা হয়নি।

গতকাল সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৭ তম অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় জেইদ রা’দ আল হুসেইন এসব মন্তব্য করেন।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “সিরিয়ার অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌটা, কঙ্গোর ইতুরি ও কাসাইস, ইয়েমেনের তাইজ, বুরুন্ডি ও মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন সাম্প্রতিক বিশ্বে ভয়াবহতম কসাইখানায় রূপ নিয়েছে।”

খুব শিগগির জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসেবে তার মেয়াদ পূর্ণ হতে চলেছে। মার্চ সেশনে এটাই তার শেষ বক্তব্য জানিয়ে তিনি বলেন, “হাইকমিশনার হিসেবে দেওয়া শেষ বক্তব্যে তিনি স্পষ্টবাদী হতে চান।” এসময় তিনি হত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন।

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, যারা মানুষ হত্যা করে ও পঙ্গু করে তারা যেমন অপরাধী ঠিক সেভাবেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র যারা মানুষের যন্ত্রণাকে দীর্ঘায়িত করতে দিয়েছে তার দায় এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাথে অমানুষের মত আচরণ করা হয়েছে। নিজ বাড়িতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি প্রশ্ন করেন, এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও তারা কেন এটা থামেতে কার্যকর কিছু করল না?

“নিরপরাধ মানুষের চূড়ান্ত যন্ত্রণা কমাতে যখন ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ঠিক তখনই ভেটো প্রয়োগ করে সেই পথ বন্ধ করা হয়েছে।”

নিপীড়িত মানুষের সামনে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রকে এর জন্য অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে বলে মানবাধিকার হাইকমিশনারের মন্তব্য।

Comments

The Daily Star  | English

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

8m ago