ভারতকে উড়িয়ে টুর্নামেন্ট শুরু শ্রীলঙ্কার
উইকেট ছিল ব্যাটিং বান্ধব। সেখানে আগে ব্যাটিং পেয়ে শিখর ধাওয়ানের ব্যাটের দাপটে বড় স্কোরই পেয়েছিল ভারত। তবে রান তাড়ায় কুশল পেরেরা ছিলেন আরও তেতে। ছোট ঝড়ে বাকিরাও রেখেছেন অবদান। নিদহাস কাপের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাই স্বাগতিকদের কাছে ৫ উইকেটে ধরাশায়ী ভারত।
মঙ্গলবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের করা ১৭৪ রান ৯ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে শ্রীলঙ্কা।
মূল কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেশে রেখে এলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খাতায় কলমে ভারতই পরিষ্কার ফেভারিট। তবে ওটা যে কেবল খাতায় কলমে মাঠে নেমে তা বুঝিয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা কুশল পেরেরাই লঙ্কানদের হিরো। ১৭৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় এই বাঁহাতিই তুলেন তাণ্ডব। কুশল মেন্ডিসের আউটের পর দ্বিতীয় ওভারের ক্রিজে এসেছিলেন। ফিরেছেন ১৩তম ওভারে। ততক্ষণে ম্যাচ হাতের মুঠোয় শ্রীলঙ্কার। ৪টি ছক্কা আর ৬টি চারে ৩৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে দানুশকা গুনাথিলেকার সঙ্গে হয়েছে ৫৮ রানের জুটি। ১২ বলে ১৯ করে গুনাথিলেকাকে উদানকান্ত থামালেও আটকানো যায়নি পেরেরা ঝড়।
তার তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন শার্দুল ঠাকুর। এই মিডিয়াম পেসারের এক ওভারেই ২৮ রান নিয়েছেন পেরেরা। ম্যাচ জেতার সুর বেধে দিয়েছিলেন তখনই। তার ৬৬ বাদ দিলে লঙ্কানদের ইনিংসে আর কেউ ৩০ রানও করতে পারেননি, তবু তারা পেয়েছে অনায়াস জয়। কারণ ক্রিজে ব্যাট করতে আসা সব ব্যাটসম্যানই রেখেছেন ছোটখাটো অবদান। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় অবদান থিসারা পেরেরার। বরাবরের মতই শেষের ঝড়টা তোলার জন্য তৈরিই ছিলেন তিনি। নিজের কাজটা করলেন আরও একবার। দলকে জিতিয়ে ১০ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (রোহিত ০, ধাওয়ান ৯০, রায়না ১, মনিশ ৩৭, পান্ত ২৩, কার্তিক ১৩; চামিরা ২/৩৩, প্রদিপ ১/৩৮, দনঞ্জয়া ০/৩৭, থিসারা ০/৩৫, জিবন ১/২১, গুনাথিলাকা ১/১৬)।
শ্রীলঙ্কা: ১৮.৫ ওভারে ১৭৫/৫ (গুনাথিাকা ১৯, কুসল মেন্ডিস ১১, কুসল পেরেরা ৬৬, চান্দিমাল ১৪, থারাঙ্গা ১৭, শানাকা ১৫*, থিসারা ২২*; উনাদকাট ১/৩৫, সুন্দর ২/২৮, শার্দুল ০/৪৪, যুজবেন্দ্র ২/৩৭, বিজয় ০/১৫, রায়না ০/১৪)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুশল পেরেরা।
Comments