প্রত্যাশার মাত্রা কমাতে বললেন মাশরাফি
ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশ ছিল পরিষ্কার ফেভারিট।সমর্থক থেকে গণমাধ্যম, সবার হাবভাবেও ছিল বাংলাদেশের জেতার আভাস। তবে মাঠের খেলায় তিন সংস্করণের সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে করেন এমন প্রত্যাশা চাপ হয়ে এসেছে। হয়েছে বুমেরাং। শ্রীলঙ্কায় নিদহাস ট্রফিতে তাই দলের কাছে প্রত্যাশার মাত্রা কমাতে বললেন তিনি।
আগের দিনই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিকসহ টানা চার বলে চার উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টি থেকে গেল বছর অবসর নেওয়ায় তিনি এখন খেলেন কেবল ওয়ানডে। শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামার আগে দল যখন ব্যস্ত, মাশরাফি ব্যস্ত প্রিমিয়ার লিগ আর নিজের ফিটনেস নিয়ে।
মাশরাফির অবসরের পর এখনো কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। এবার বড় টুর্নামেন্ট নেই সাকিব আল হাসানও। হারের গেরো থেকে বেরুতে কি করতে হবে বাংলাদেশকে? সহজ উত্তর, ‘আমি আপনি সবাই জানি কি করতে হবে। আল্টিমেটলি ম্যাচ জিততে হবে। এর বিকল্প তো নাই।’
বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক পরেই বললেন আসল কথা, ‘সত্যি কথা বলতে কি আপনি যদি দলের উপর চাপ দেন, এই দল ভালো খেলবে না। বিশেষ করে এখানেই ফাইনাল ম্যাচ একটা ব্যাপার আছে। চাপ আছে। শুধু ক্রিকেট না যেকোনো খেলায় যদি প্রত্যাশার মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসেন তাহলে দল বোস্ট আপ হয়।’
দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ে আর ভাঙাগড়ার মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল হেসেখেলেই জিতবে এমন একটা ভাবনা ছড়িয়ে পড়েছিল। মাশরাফির মতে বুমেরাং হয়েছে এটাই, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এটা বুঝি। যদি মনে করেন শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ধুর এদের সাথে জিতবে...যেটা হয়েছে আসলে। এটা না আসলে চাপ তৈরি করে।’
দলকে নির্ভার রাখতে গণমাধ্যম, সমর্থক সবার সহযোগিতা চাইলেন মাশরাফি, ‘আপনাদেরও সাহায্য দরকার, সমর্থকদের হেল্পও দরকার। হ্যাঁ খেলব, জিতব এটা খুবই স্বাভাবিক। আপনি কি মনে করেন খেলোয়াড়রা জেতার জন্য নামবে না, অবশ্যই নামবে।’
নিদহাস ট্রফিতে ফর্মে থাকা স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা তো বড় শক্তিই। সিনিয়র কজন ক্রিকেটার ছাড়াও ভারতকে মানা হচ্ছে টুর্নামেন্ট ফেভারিট। এমন কঠিন প্রতিপক্ষ হওয়ায় ‘সমর্থক মাশরাফি’ নিজের প্রত্যাশার পারদটাও নামিয়ে রেখেছেন, ‘নিদহাস ট্রফিতে টি-টোয়েন্টি খেলা। আমি একজন যদি সমর্থক হিসেবে বলব প্রত্যাশা অত উপরে নাই, আমি চাইব ওরা লড়াই করুক। পরে যদি ম্যাচ জিততে পারে আমার কথায় আর কিছু আসে যাবে না।’
গত ২৭ জানুয়ারি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পাওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে সাকিব আল হাসান। দুই ফরম্যাটের বাংলাদেশ অধিনায়ক থাকছেন না এই সিরিজেও। সাকিব না থাকা মানে মাশরাফির কাছেও দুজন খেলোয়াড় না থাকা
‘সাকিব নাই মানে দুজন মাইনাস। দুজন খুঁজতে হবে। খুব ভালো ব্যাটসম্যান, আবার খুব ভালো বোলার। সাকিবের অভাব রাতারাতি কেন অদৌ কবে পূরণ হবে বলা মুশকিল।’
Comments