ভারতের সামনে সহজ লক্ষ্য
লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের মাঝারি দুই ইনিংসে ভারতকে ১৪০ রানের মাঝারি লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয়দের মাপা বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভারই হাঁসফাঁস করেছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন, সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। তাই পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি। ভারতের জয়দেব উনাদকাত নিয়েছেন ৩৮ রানে ৩ উইকেট। তবে সেরা বোলার যুজবেন্দ্র চেহেল। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। আরেক স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর টাইগার ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখার কাজটা করেছেন ঠিকঠাক।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশের শুরুটাই ছন্দপতনে। ক্রিজে খানিকটা নড়বড়ে সৌম্য সরকার দারুণ ছক্কা আর চারে সরিয়েছিলেন চাপ। জয়দেব উনাদকাতের বলে ফ্লিক করে ছক্কা মারার পরেই বলেই একই শট খেলতে গেলেন। এবার শর্ট ফাইন লেগে নিচু ক্যাচ হাতে জমান যুজবেন্দ্র চেহেল। এই চেহেল পরে বল করতে এসেও ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে।
মন্থর শুরুর পর শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুই চার মেরে আড়ষ্টতা কাটিয়েছিলে তামিম। ফিরেছেন পরের বলেই। শর্ট ফাইন লেগে তার দেওয়া সহজ ক্যাচ নিতে কোন অসুবিধা হয়নি উনাদকাতের। ওয়ানডাউনে নেমে চার দিয়ে শুরু করা লিটন পরে দিয়েছিলেন টানা দুইটি সুযোগ। তার উঠানো ক্যাচগুলো ফেলে দেন রায়না, চেহেলরা।
ওদিকে ক্রিজে এসেই স্বচ্ছন্দে খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ফেরান বিজয় শঙ্কর। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও হতাশ করেন বিজয় শঙ্করকে উইকেট বিলিয়ে।
১১ ওভারের আগেই ৭৪ রানে নেই ৪ উইকেট। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেন লিটন দাস। তবে দ্রুত রান বের করতে বেগ পেতে হয় তাদের। রান বাড়ানোর চাপেই ফেরেন লিটন। ৩০ বলে ৩৪ রান করে এগিয়ে এসে পেটাতে গিয়ে ক্যাচ দেন চেহেলের বলে।
অনেকদিন থেকে ফর্ম হারিয়ে দিশাহারা সাব্বির এদিন নিজেকে কিছুটা খুঁজে পেয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৬ বলে ৩০ রান।
Comments