‘শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল আমরা জিততে পারব’

লক্ষ্যটা ২১৫ রানের পাহাড়সম। টি-টোয়েন্টি এর আগে কখনো দুইশো রান না করা বাংলাদেশের জন্য মনস্তাত্ত্বিক পাহাড়টা আসলে আরও উঁচু। অথচ ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন তাড়া করতে নামার শুরু থেকেই জেতার কথাই মনে হচ্ছিল তাদের।
Bangladesh Cricket team
নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো শট শেষে মুশফিক ও মিরাজের উল্লাস। ফাইল ছবি: এএফপি

লক্ষ্যটা ২১৫ রানের পাহাড়সম। টি-টোয়েন্টি এর আগে কখনো দুইশো রান না করা বাংলাদেশের জন্য মনস্তাত্ত্বিক পাহাড়টা আসলে আরও উঁচু। অথচ ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন তাড়া করতে নামার শুরু থেকেই জেতার কথাই মনে হচ্ছিল তাদের।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দুই বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়ার ইতিহাস গড়ে জেতার পথে স্বাগতিকদের হারায় ৫ উইকেটে। স্নায়ুচাপ জেতার স্বস্তি অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘আমার মনে হয় এটা স্নায়ুচাপের খেলা ছিল। বোলাররা চেষ্টা করেছে কিন্তু এটা ব্যাট করার জন্য খুব ভালো উইকেট। এটা দারুণ জয়ে ফল আমাদের পক্ষে এসেছে। সত্যি কথা বললে শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল আমরা জিততে পারব।’

রেকর্ড রান তাড়ায় লিটন দাস আর তামিম ইকবালের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরু দুর্দান্ত। বিশেষ করে ব্যাটের ঝাঁজে লিটন ছিলেন দারুণ। খেলেছেন ১৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৭ রান। তবে সবাইকে ছাপিয়ে দিনশেষে নায়ক মুশফিকুর রহিম। দলকে জিতিয়ে ৩৫ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অধিনায়ক প্রেরণা পাচ্ছেন এমন নৈপুণ্যে,  ‘তামিম আর লিটন খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছে। এরপর মুশফিক ছিল অসাধারণ। দলকে প্রেরণা দেওয়ার জন্য এটা দুর্দান্ত কিছু।’

ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের নিয়মিত সঙ্গী আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকার এদিন খেলেছেন ওয়ানডাউনে। তাকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে ডানহাতি লিটনকে উপরে তোলার ফাটকা কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ জানালেন অফ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়াকে এড়াতেই এমন টেকটিক্যাল বদল, 'আমরা জানতাম আকিলা দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসবে। সেকারণে লিটনকে ওপেন করতে পাঠিয়েছিলাম।' 

Comments

The Daily Star  | English
Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

9h ago