আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ডুবুরি’
পানির নিচে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারে এমন একটি যান (রোভার) নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছে গেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল। স্বল্প খরচে তৈরি করা এই রোভারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্র্যাক ডুবুরি’।
সিঙ্গাপুরে ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারস ও ওশেনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতার ওয়েবসবাইটে বলা হয়েছে, চীন, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে আজ বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এ ধরনের প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মত অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কোনো দল। ১৩টি দেশের ৪৬টি রোভারের সাথে প্রাথমিকভাবে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে ব্র্যাক ডুবুরিকে।
‘ডুবুরি’ তৈরির সাথে যুক্তরা জানান, এটি পানির নিচে চলাচলে সক্ষম তারবিহীন রোভার। পানিতে নামিয়ে দেওয়ার পর সংকেত দিলেই এটি তার কাজ শুরু করে। পানির তলায় চলাচলের জন্য এটি ইমেজ প্রসেসিং ও বিভিন্ন ধরনের পানিরোধী সেন্সর ব্যবহার করে।
এই প্রকল্পের উপদেষ্টা ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ পেলে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। এর পরও যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়া গেছে তাতেই গর্বিত।
ব্র্যাক ডুবুরির দলপতি আদনান সাব্বির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর কাজে লাগতে পারে এই ধরনের রোভার। আমাদের নদী নালার অবস্থা পর্যবেক্ষণে এটা কাজ করতে পারে।
এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন, রাহাতুল আমিন অনন্ত, সাকিব আহমেদ সামদানি ও শায়ান্ত অর্ক। উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ তারা সবাই এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
রবোটিক্সে এর আগেও সাফল্য দেখিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ন্যানো স্যটেলাইট “ব্র্যাক অন্বেষা”, “মঙ্গল তরী” ও “চন্দ্রবট” তৈরি করে প্রশংসিত হয়েছিল।
Comments