এবার ভেস্তে গেল মুশফিকের ফিফটি, ফাইনালে ভারত
ব্যাট হাতে আবারও জ্বলে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ওপেন করতে নেমে তামিম ইকবাল পেয়েছিলেন ঝড়ো শুরু। সাব্বির রহমানও পেয়েছিলেন কিছুটা রান। তবে অফ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের দারুণ আঁটসাঁট বোলিং জিততে দেয়নি বাংলাদেশকে। মাহমুদউল্লাহর দলকে ১৭ রানে হারিয়ে নিদহাস কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।
বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের ১৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ থেমেছে রানে। আগের ম্যাচে ৩৫ বলে ৭২ রানের ঝড় তুলে দলকে জিতিয়েছিলেন মুশফিক। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যান এবারও করেছেন ঠিক ৭২ রান। তবে এবার খেলেছেন ৫৫ বল। শেষ পর্যন্ত মাঝের ওভারগুলোতে দ্রুত রান তোলার অভাবে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশ। ৪ ওভার বল করে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের বোলিং হিরো ওয়াশিংটন সুন্দর। বাংলাদেশ থেমেছে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে।
কিছুটা মন্থর পিচ হওয়ায় ১৭৭ রানের লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। আগের ম্যাচে ২১৫ তাড়া করে জেতা বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে কমতি ছিল না। গড়বড় হয়েছে হিসেব নিকেশে। এদিনও ওপেন করতে পাঠিয়ে লিটন দাসকে তেড়েফুঁড়ে খেলারই নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাণ্ডব চালানো এই ব্যাটসম্যান আজ এক চার মেরেই হয়েছেন কুপোকাত। মাথা খাটিয়ে বল করতে থাকা অফ স্পিনার সুন্দরকে চালাতে গেলেন প্রায় প্রতি বলে। ফলাফল স্টাম্পিং। সুন্দর খানিকপর ১ রান করা সৌম্য সরকারকে বোকা বানিয়েছেন দোসরায়।
তবে আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের দেখাচ্ছিলেন ঝিলিক। চোখ ধাঁধানো স্কয়ার কাট, পুল আর ড্রাইভে শার্দুল ঠাকুরের এক ওভারেই নিয়ে নেন ১৯ রান। বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। তবে তামিমকেও ছেঁটেছেন সুন্দর। সুন্দরের বলে রান না আসায় স্কুপ করতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১৯ বলে ২৭ রান করা তামিমের পর ৮ বলে ১১ করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও। ৬১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপর্যয়েই পড়েছিল বাংলাদেশ। সাব্বিরকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৫ বলে ফিফটি তোলে ফের আশার আলো জ্বালেন মুশফিক।
ফর্ম হারানো সাব্বির ছিলেন কিছুটা মন্থর। তামিমের হাতে মার খাওয়া শার্দুল পরে তার ‘নাকাল’ নাজেহাল করে ছেড়েছেন সাব্বিরকে। ২৩ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে থামেন সাব্বির। ১২ থেকে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের রানের চাকা চেপে ধরে চাপ বাড়ায় ভারত। সেই চাপে চড়া হতে থাকা আস্কিং রান রেট আর কমানো যায়নি।
এবার শেষ বলটি পর্যন্ত খেলেও মুশফিক জেতাতে পারেননি বাংলাদেশকে।
রোহিত শর্মা টিকে থাকলে কি করতে পারেন তাই দেখিয়েছেন আরেকবার। এমনিতে ভালোই বল করছিলেন রুবেল-মোস্তাফিজরা। তবে তাদের চেয়েও চতুর ছিলেন রোহিত। তার স্বভাবের বাইরে আড়ষ্ট শুরুর পরও ৫ টি করে ছক্কা আর চারে ৬১ বলে করেছেন ৮৯ রান।
নিদহাস ট্রফির আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত, এই ম্যাচ দিয়েই ফিরলেন । শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭০ রান। দশম ওভারে ২৭ বলে ৩৫ করা শিখর ধাওয়ানকে দারুণ ইয়র্করে বোল্ড করেন রুবেল। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩০ বলে ৪৭ রান করা সুরেশ রায়নাকেও আউট করেন রুবেল।ওই ওভারে ৮৯ করা রোহিতকেও রান আউট করেছেন তিনি। একের পর এক ইয়র্কারে দেন মাত্র ৪ রান। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এই ম্যাচ হারলেও ফাইনালের আশা ঠিকই থাকছে বাংলাদেশের। ১৬ মার্চ স্বাগতিকদের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালে নামবে টাইগাররা।
Comments