সাব্বিরের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি
ভারতের দুই স্পিনার যুজভেন্দ্র চেহেল আর ওয়াশিংটন সুন্দরের তোপে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। চাপের মধ্যে ৫০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। তাতে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ গড়ে ১৬৬ রানের সংগ্রহ।
দলে জায়গা হয়ে পড়েছিল নড়বড়ে। টিকতে হলে সাব্বিরকে করতে হতো বড় কিছু। ঠিক আদর্শ সময়েই জ্বলে উঠলেন তিনি। চাপের মধ্যে ব্যাট করে পেয়েছেন ফিফটি। ৭ চার আর চার ছক্কায় জানান দেন টি-টোয়েন্টিতে তার কার্যকারিতা।
টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে শুরুটা দেখে শুনে করেছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। উইকেটে জমে না থাকায় বেরুচ্ছিলো রানও। আরও দ্রুত রান বাড়ানোর তাড়ায় গড়বড় করেন লিটন। এক ছয়ে ১১ রান করার পর আবার তার ঘাতক ওয়াশিংটন সুন্দর। অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। টপ এজ হয়ে বল যায় স্কয়ার লেগে সুরেশ রায়নার হাতে। ১৩ বলে ১৫ করা তামিমের উইকেট গেছে শার্দুল ঠাকুরের দারুণ এক ক্যাচে। যুজবেন্দ্র চেহেলকে ছক্কাই মারতে গিয়েছিলেন তামিম। লঙ অনে লাইনের কাছে ভারসাম্য রেখে তা হাতে জমান শার্দুল।
এই ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ছিল ডান-বাম কম্বিনেশন। ডান হাতি লিটনের আউটে আবার তিনে নেমেছিলেন সাব্বির। বাম হাতি তামিমের আউটে চারে সৌম্য সরকার। ফের হতাশ করেছেন তিনি। এবার মাত্র ১ রান করে চেহেলকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে।
৩৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে তখন থতমত বাংলাদেশ। ছন্দ খুঁজে ফেরা সাব্বির রহমান নিলেন দায়িত্ব। চার-ছয়ে বাড়ালেন রান। তবে জুটিটা জমে উঠতেই কাটা পড়েন মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনার চেহেলের বলেই তার ক্যাচ গেছে মিড অনে।
সাব্বিরের সঙ্গে ৩৫ রানে জুটে গড়ে আবারও আলো দেখাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে ২১ রান করে দিচ্ছিলেন বড় কিছুর আভাস। দুজনের অদ্ভুত ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। সঙ্গীকে রান আউট করিয়ে পরে প্রায়শ্চিত করেছেন সাব্বির। ২১ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টি পেয়েছেন ফিফটি। ৭ বলে ৭ রান করে অধিনায়ক সাকিবও ফেরেন রান আউট হয়ে। ৭৭ রান করে সাব্বির বোল্ড হন উনাদকাতের বলে, এক বল পর ফেরেন রুবেলও। ওই ওভারে আসে মাত্র ৩ রান। শেষ ওভারে ১৮ রান নিয়ে কিছুটা পুষিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে। ৭ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের বোলিং হিরো চেহেল। আরেক স্পিনার সুন্দর ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। এই দুজনের ৮ ওভারেই মূলত আটকে যায় বাংলাদেশের রানের চাকা।
ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আগের সবগুলো ম্যাচে টসে জিতলেও এবার হেরে আগে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়েও সমস্যার কিছু দেখছেন না সাকিব আল হাসান। বরং ফাইনাল ম্যাচের চাপে আগে ব্যাটিং পেয়েই খুশি বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ একাদশে কোন পরিবর্তন আনেনি। ভারতের একাদশে পেসার মোহাম্মদ সিরাজের জায়গায় ফিরেছেন জয়দেব উনাদকাত।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউলাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, মানিশ পান্ডে, লোকেশ রাহুল, দীনেশ কার্তিক, বিজয় শঙ্কর, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল, জয়দেব উনাদকাত, শার্দুল ঠাকুর।
Comments