ওয়ালশকেই স্থায়ী প্রধান কোচ করা যায়, অভিমত মাহমুদের
শ্রীলঙ্কায় নিদহাস ট্রফিতে দলের অন্তর্বর্তী প্রধান কোচে হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। এখনো প্রধান কোচের খুঁজে আছে বিসিবি। তবে সহসাই এই পদে কাউকে না পেলে ওয়ালশকেই স্থায়ী করার প্রশ্নে একমত খালেদ মাহমুদ সুজন।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশের প্রধান কোচের পদ খালি। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে অন্তর্বর্তী পদেও কেউ ছিলেন না। প্রধান কোচের আদলে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হয়ে দল চালিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। দলের ম্যানেজার, বোর্ড পরিচালক, গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান। একসঙ্গে এতগুলো পদে থাকায় বিতর্কে পড়া মাহমুদকে সরিয়ে নিদহাস ট্রফিতে প্রধান কোচ করা হয় ওয়ালশকে।
বড় দায়িত্ব পেয়ে দলের সাফল্যও এনে দিয়েছেন ওয়ালশ। নিদহাস কাপে ইতিবাচক ফলের পর ওয়ালশকেই এই পদের জন্য সুপারিশ করতেও রাজি মাহমুদ, ‘করা যায় (প্রধান কোচ)। আমার প্রেসক্রিপশন করা যায়। কোর্টনি দারুণ একজন মানুষ। সৎ একজন মানুষ। নিদহাস ট্রফিতে দারুণ ভাবে সাপোর্ট করেছেন, মোটিভেট করেছেন প্লেয়ারদের। তার অভিজ্ঞতা তো ৪০ বছরের, দীর্ঘদিন থেকে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। তার অভিজ্ঞতা নিয়ে তো কথাই নেই।’
খালেদ মাহমুদের মতে ক্রিকেটারদের মাঝেও আছে ওয়ালশের জনপ্রিয়তা। নিদহাস কাপে নিজের কাজ দেখিয়েও নাকি নজর কেড়েছেন এই ক্যারিবিয়ান, ‘সে ফাদারলি ফিগার। দলের সবাই তাকে পছন্দ করে। সবমিলিয়ে শেষ সিরিজে হি ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক।’
নিদহাস ট্রফি চলাকালীন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই কোচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এরপর এই বিষয়ে আর কোন অগ্রগতির খবর না থাকায় তা অনিশ্চিতই ধরে নেওয়া হচ্ছে। মাহমুদও ইঙ্গিত দিলেন সেই অনিশ্চয়তার দিকেই,
‘যখন বলেছেন (বিসিবি প্রধান), কিছু একটা তো হবেই। আসুক বা না আসুক, যেটাই হোক বলবেন। একজন প্রপার কোচ আমাদের দরকার। সেগুলোই উনারা চিন্তা করছেন।’
তবে কোচ নিয়োগে কেবল টেকনিক্যাল দক্ষতা নয়, মানবিক গুণাবলীর দিকেও নজর দেওয়ার অভিমত মাহমুদের, ‘মানুষ হিসেবে কেমন সেটাও দেখার আছে। আমাদের কোচও দরকার, ভালো মানুষও দরকার। আমাদের ছেলেরা ইমোশনাল টাইপের তো। এইগুলা সব চিন্তা করে কোচ দেওয়াটা দরকার আসলে।’
Comments