‘একটা ব্রেক খুব দরকার হয়ে গেছে’
বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের সামনে আছে বেশ কিছু ফাঁকা সময়। বাংলাদেশের পরের সিরিজের তারিখ সামনের জুনে। তার আগে মাস দুয়েক নেই কোন আন্তর্জাতিক খেলা। পরেই আবার একের পর টানা সিরিজ। ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে এমন ছুটির ভীষণ দরকার ছিল বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কেবল বাকি সুপার লিগ, পরে বিসিএলের আছে এক রাউন্ড খেলা। তবে এরপর ক্রিকেটারদের হাতে অখণ্ড অবসর। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে গিয়ে শুরু হবে ব্যস্ততা। তখন ভারতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দলের ম্যানেজার ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদের মতে এই বিশ্রাম খুব কাঙ্ক্ষিত ছিল তাদের,
‘আমি মনে করি একটা ব্রেক খুব দরকার হয়ে গেছে আসলে সত্যি কথা বলতে । আপনি যদি দেখেন আফগানিস্তানের পর পরই আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাব, এসে এশিয়া কাপ, তারপর অস্ট্রেলিয়া (এই সফর বাতিল হয়ে গেছে) । তারপরে বিপিএল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে আসবে। মানে কোন ফাঁকা নাই কিন্তু।’
জুন মাস থেকে বছরের বাকিটা সময় পর্যন্ত আছে প্রচুর খেলা। ওইসময় ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকিও ভাবাচ্ছে দলকে। এরমধ্যে বিকল্প খেলোয়াড় তৈরি রাখার দিকে নজর দিতেও চাইছেন তারা,
‘কিছু প্লেয়ার ইনজুরড হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ কিন্তু এত ঘন ঘন ম্যাচ খেলে নাই। সামনে দুই বছরে যা খেলবে। সুতরাং ইনজুরি আর অফ ফর্মে যাওয়ার চান্সও থাকবে। অনেকগুলো প্লেয়ারকে স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। দুইটা দল রেডি রাখতে হবে। কারণ ইনজুরি একটা ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
তবে বিশ্রামে থাকলেও ক্রিকেটাররা যাতে ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন তার জন্যও থাকবে ব্যবস্থা
‘ আমরা চাই তারা বিশ্রাম নিক। কিন্তু সেটা এক্টিভ রেস্ট। ন্যাশনাল টিমের প্লেয়ার তো, কাজেই ওইরকম না যে শুয়ে বসে কাটাবে। কোন দিন দৌঁড়াবে, কোন দিন জিমে আসবে।’
Comments