তদন্তে সিএ, হুমকিতে স্মিথের অধিনায়কত্ব

অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ইশারায় এবং দলীয় সিদ্ধান্তে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করার ঘটনায় বেজায় চটেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে তারা। এতে হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে স্মিথের অধিনায়কত্ব।
Steven Smith
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে স্টিভেন স্মিথ। ছবি: এএফপি

অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ইশারায় এবং দলীয় সিদ্ধান্তে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করার ঘটনায় বেজায় চটেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে তারা। এতে হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে স্মিথের অধিনায়কত্ব। 

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এটা একটি কষ্টের দিন। কেপটাউন টেস্টে যা হয়েছে তা নিয়মের বাইরে এবং ক্রিকেটের স্পিরিটের বাইরে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই জন্যে হতাশ। কিন্তু সমর্থকদের কথা ভাবলে হতাশার মাত্রাটা আরও বেশি।'

বিষয়টি এখানেই শেষ হচ্ছে না। আলাদা করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অধিনায়ক পদ থেকে স্মিথকে সরিয়ে দিতে পারে সিএ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দুই কর্মকর্তা ইয়ান রয় ও প্যাট হাওয়ার্ড তদন্তের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে গেছেন। 

'এটা এখানেই শেষ হচ্ছে না, এবং শেষ হতে পারে না। আমরা এই ইস্যু খতিয়ে দেখতে চাই। সামনের কদিনের মধ্যে আমরা এর গভীরে যেতে চাই। ইয়ান, হাওয়ার্ড আজ দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন।' 

এদিকে এরমধ্যে বল টেম্পারিং করা ক্যামরন বেনক্রফটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। তিনি যে শাস্তি পাবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তা মেনে নেবে বলেও জানান সাদারল্যান্ড। 



আরও পড়ুন- দলীয় সিদ্ধান্তে বল টেম্পারিং করেছে অস্ট্রেলিয়া!

শনিবার কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিং করেন ক্যামেরন বেনক্রফট। দুই হাত দিয়ে বলের আকৃতি বদলের চেষ্টা করা তার একটি ফুটেজ ফাঁস হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দেখা যায় তিনি পকেটে কিছুটা একটা রাখছেন। পরে সেই জিনিস আবার পকেট থেকে তার আন্ডারগার্মেন্টসের ভেতর চালান করে দেন। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বল টেম্পারিং করার কথা স্বীকার করেন বেনক্রফট। পাশে থাকা অধিনায়ক স্মিথ জানান, তিনি পুরো ব্যাপারটি জানতেন এবং লাঞ্চের বিরতির সময় দলের লিডারশির গ্রুপ মিলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

সূত্র: ক্রিকইনফো 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago