স্পেনের কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত আর্জেন্টিনা
আগের ম্যাচে ইতালিকে ২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু স্পেনের সামনে পড়তেই রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে তারা। হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যরা হেরেছে ৬-১ গোলে। স্পেনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ইস্কো।
মাদ্রিদের ভরা গ্যালারিতে সমর্থন একচেটিয়া ছিল স্বাগতিকদের পক্ষেই। একের পর এক গোলেই সেই ভরা গ্যালারিতে উঠেছে জোয়ার। তাতে মুখ লুকিয়ে ডোবার অবস্থা আর্জেন্টাইনদের। প্রীতি ম্যাচ হলেও শেষ দিকে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। তবে খেলার কোন অংশেই পাত্তা পায়নি আর্জেন্টিনা। চোটের কারণে এই ম্যাচেও ছিলেন না আর্জেন্টিনার সেরা তারকা লিওনেল মেসি। দি মারিয়া ও সের্হি আগুয়েরোও পাননি সাম্পাওলি।খেই হারানো সফরকারীদের নিয়ে রীতমতো ছেলেখেলায় মেতে উঠেছিলেন ইস্কো-কস্টা-ইনিয়েস্তারা।
ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণে উঠে স্পেন। সাফল্য পেতেও দেরি হয়নি তাদের। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করেন ব্রাজিল ছেড়ে স্পেনে পাড়ি জমানো ডিয়াগো কস্টা। মার্কো আসেনসিওর কাছ থেকে বল পেয়ে জটলায় পড়ে যান কস্টা। তবে তার আগে বলে টোকা নিয়ে নিশ্চিত করেন গোল।
গোল খেয়ে নড়েচড়ে উঠার আর তেমন সুযোগ পায়নি আর্জেন্টিনা। ২৭ মিনিটে আবার আসেনসিওর স্কয়ার থেকে বল নিয়ে জালে জড়ান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইস্কো।
২-১ গোলের ব্যবধান রেখে বিরতিতে যায় স্পেন-আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর আবার নায়ক ইস্কো। ৫২ মিনিটে আর্জেন্টাইনদের ডিফেন্স চিরে ইনিয়েস্তার থ্রো ধরে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার আরেক গোল।
গোল খেয়ে সেন্টার করতে না করতেই যেন আরেক গোল। মিনিট তিনেক পর আসেনসিও-ইস্কো আদান প্রদানের পর বল পান থিয়াগো আলচেন্ত্রা। গোল করতে ভুল করেননি তিনিও।
চার গোলে পিছিয়ে থেকে আর্জেন্টিনার তখন করুণ দশা। সেই দশা আরও করুণ হয়েছে মিনিট বিশেক পর। ৭৩ মিনিটে ডি গেয়ার কাছ থেকে লঙ বল ধরে আসপাস কনভার্ট করেন গোলে।
এক মিনিট পরই আসে ম্যাচের নায়ক ইস্কোর হ্যাটট্রিক। ওটামেন্ডির ভুল থেকে বল পেয়ে ইস্কোকে পাস বাড়ান আসপাস। দারুণ মুন্সিয়ানায় এবারও তার শট পায় জালের ঠিকানা।
২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার কাছে ৬ গোল খেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৯ বছর পর এবার তাদের ৬ গোল দিল স্পেন।
Comments