কোটা সংস্কারের দাবিতে তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ

এক মাসের মধ্যে কোটা সংস্কারে সরকারের আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও ঢাবিসহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের একাংশ আজ তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।

কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রায় তিনশ আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন। সরকারের চাওয়া এক মাসের সময় প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে কোটা সংস্কারের ঘোষণা দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় কোটা সংস্কারের দাবি। ছবি: পলাশ খান

এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতকাল যারা সরকারের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন তারা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কান্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা বিক্ষোভ চলিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে অগ্রাহ্য করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের একাংশ আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদ-সমাবেশ করেছেন। আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা আজ দুপুরে জানান, বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবাইকে ক্লাসে ফিরে আসার আহ্বানের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ক্লাসে যোগ দিলেও অনেকে ক্লাস বর্জন করে চলছেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি না থাকায় অনেক বিভাগেই ক্লাস বন্ধ ছিল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি গ্রন্থাগারের সামনে এসে সমাবেশ করে।

সমাবেশ থেকে গতকাল জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। আজ বিকাল ৫টার মধ্যে কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ছাত্রসমাজের কাছে ক্ষমা না চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে অবাঞ্ছিত করারও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায় আজ বেশিরভাগ বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।