মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য প্রত্যাহার চায় আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা আজ (১০ এপ্রিল) বলেন, মতিয়া চৌধুরী এবং যে সাংসদরা আন্দোলনকারীদের “রাজাকার” বলে আখ্যায়িত করেছেন তাদেরকে বিকাল ৫টার মধ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভকারীদের একজন প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্র সৈয়দ জোবায়ের উদ্দিন বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুর সন্তান। রাজাকারদের নয়। সরকারের ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। তারা আমাদের কাছে একমাস সময় নেয় আবার আমাদের রাজাকার বলে আখ্যা দেয়।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। আজ বিকাল ৫টার মধ্যে তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে ছাত্রসমাজের কাছে ক্ষমা না চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে অবাঞ্ছিত করারও ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
গতকাল জাতীয় সংসদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?”
Comments