প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট বক্তব্য চায় আন্দোলনকারীরা

কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ (১১ এপ্রিল) সকালে আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতরাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
Press conference
১১ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণগন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ থেকে কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দাবি করা হয়। ছবি: প্রবীর দাশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ (১১ এপ্রিল) সকালে আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতরাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

গতরাত থকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পর আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণগন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চাই।”

সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন নতুন করে দুটি দাবি উত্থাপন করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারীদের এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার করতে হবে।

এই সংবাদ সম্মেলনে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।

Matia Chowdhury
১১ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: প্রবীর দাশ

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বিক্ষোভ ও অবরোধের খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের ঢাবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা কমানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন। সেই সাথে সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। গত রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে আন্দোলনকারী কয়েকজন ছাত্রীর ওপর ছাত্রলীগ নেত্রীর নির্যাতনের ঘটনার পর সকাল থেকেই নতুন উদ্যমে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করার একাংশের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সোমবার বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। অপর পক্ষটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এর পরই মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় ঐক্যবদ্ধভাবে বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধের ঘোষণা আসে।

সোমবার জাতীয় সংসদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?”

আন্দোলনকারীরা এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেন। এর পরই গতকাল সন্ধ্যায় ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago