কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থন

বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি আজ (১১ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
akhtaruzzaman
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান। ছবি: ফাইল ফটো

বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি আজ (১১ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে বলেন, “আমাদের ছেলেরা আমাদের মেয়েরা তারাই কিন্তু রাস্তায়। তাদের যে দাবি তা হলো সংস্কারের দাবি। সরকারের কাছে আমার তরফ থেকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই সংস্কারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সরকারকে বলেছি দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করা হোক।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থী প্রত্যেকেরই তাদের অভিভাবক, পিতামাতা, পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। কখনো তারা ক্লাসও বর্জন করেনি, পরীক্ষা বর্জন করেনি। একেবারে শুধুমাত্রই সংস্কারের আন্দোলনে গিয়েই তারা এই বক্তব্যগুলো দিয়েছে। তারা কতোগুলো যৌক্তিক সংস্কারের কথা বলেছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে এই পরিবর্তনটা খুবই জরুরি।”

উপাচার্য বলেন, “আমার তরফ থেকে সরকারকে খুব স্পষ্টভাবে, খুব জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছি যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সংহতি জ্ঞাপন করছে।”

“কেননা, সংস্কার এমন একটি বিষয় যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে যায়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনো স্থিতি অবস্থায় থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয় একটি চলমান প্রক্রিয়া যেখানে সবসময় সংস্কারকে স্বাগত জানায়। আমরা একেবারেই যৌক্তিকভাবে মনে করি যে সংস্কারের খুবই প্রয়োজন আছে এবং সেটি যত দ্রুত করা হয় তত দ্রুতই শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হবে,” যোগ করেন আখতারুজ্জামান।

তিনি মনে করেন, “যুগের পরিবর্তন এমন হয়েছে যে আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্রুত পরীক্ষা শেষ করে সার্টিফিকেট নিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চায়। তাই তাদের দাবিটিকে বিবেচনা না করে একে বিলম্বিত করা হলে তাতে আরও ভোগান্তি বাড়বে।”

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that a 33-year courtship has soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

3h ago