দারুণ বল করেও শেষ ওভারে নায়ক হতে পারলেন না মোস্তাফিজ
শেষ ৬ বল থেকে জিততে হলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানই পেয়েছিলেন বল। কিন্তু আটকাতে পারেননি জেসন রায়কে। তার প্রথম দুই বলেই ছয় আর চারে টাই করে দেন ম্যাচ। পরের ৩ বল ডট করে নাটক জমিয়ে তুলেছিলেন মোস্তাফিজও। তবে শেষ বলে ১ রান নিয়ে নায়ক জেসন রায়ই।
প্রথম ম্যাচে নেমে তেমন কিছু করতে পারেননি। পরের দুই ম্যাচেই দেখিয়েছেন কব্জির ঝাঁকুনি তবু লাভ হয়নি দলের, বাকিদের ব্যর্থতায় হেরেই চলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল তারা।
শনিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভরপুর সমর্থনের মধ্যেও দিল্লি ডেয়ারডেভিসের কাছে ধরাশায়ী রোহিত শর্মার দল। আগে ব্যাট করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিলে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রায়ের ঝড়ে ৭ উইকেটে জিতেছে গৌতম গম্ভীরের দল। দলকে জেতাতে ৫৩ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত ছিলেন জেসন রায়।
১৯৪ রান ঠেকাতে চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজ। আগের তিন ওভারে ঝড় তুললে ওই ওভার থেকে মাত্র ৪ রান নিতে পারে দিল্লি। পরের ওভারে এসে আরও ঝাঁজালো মোস্তাফিজ। প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন গৌতম গম্ভীরকে। প্রথম দুই ওভার থেকে মাত্র ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি।
আর উইকেট না পেলেও বাকি দুই ওভার থেকে মোস্তাফিজ দেন ১৮ রান। ৪ ওভার বল করে ২৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন, করেছেন ১১টি ডট বল।
মোস্তফিজ একা ভালো করলেও বাকিরা ছিলেন রান দেওয়ায় উদার। হার্দিক পান্ডিয়া প্রথম দুই ওভারেই দেন ৩২ রান। লঙ্কান অফ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়ার ৪ ওভার থেকে আসে ৪৭ রান। ৩ ওভারেই ৪২ দেন আগের দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া লেগ স্পিনার মায়াঙ্ক মারকান্ডে।
তবে মোস্তাফিজের মতো আঁটোসাটো বল করেছেন জাসপ্রিন্ট বোমরাহ। উইকেট না পেলেও তার ৪ ওভার থেকে ২৭ রান নিতে পেরেছে দিল্লি।
মুম্বাই বোলারদের এমন বেহাল দশা করেছেন মূলত জেসন রায়। ইংলিশ ওপেনার ৬টি করা চার ছক্কায় ৫৩ বলেই করেন ৯১ রান। ওয়ানডাউনে নামা ঋষভ পান্ত ২৫ বলে করেছেন ৪৭। ৬ বলে ১৩ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট হয়ে গেলেও ২০ বলে ২৭ রান করে জেসনের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব আর এভিন লুইসের ঝড়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল মুম্বাই। ৯ ওভারেই পেরিয়েছিল একশো রান। ২৮ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন লুইস। আর ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন যাদব। ওয়ানডাউনে নেমে ইশান কিষান করেছেন ২৩ বলে ৪৪। তবে রোহিত শর্মাসহ বাকিদের ব্যর্থতায় শেষের ঝড়টা তুলতে পারেনি মুম্বাই। এক পর্যায়ে দুইশ ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা থাকলেও ১৯৪ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
Comments