সেই কলকাতার বিপক্ষেই ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সাকিব
এতদিন যাদের হয়ে খেলেছিলেন এবার সেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ওদের মাঠে প্রতিপক্ষ পেয়ে প্রথমে বোলিংয়ে, পরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব আল হাসান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শনিবার রাতে ইডেন গার্ডেনে কলকাতার দেওয়া ১৩৯ রানের মামুলি লক্ষ্য এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় সানরাইজার্স। ২১ রানে দুই উইকেট নেওয়ার পর ২০ বলে ২৭ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন সাকিব। সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে এই ম্যাচ দিয়ে চার হাজার রানও স্পর্শ করেছেন এই ফরম্যাটের শীর্ষ অলরাউন্ডার।
আইপিএলে আগের সাত মৌসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। কলকাতা এবার ছেড়ে দেওয়ায় সাকিবকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে এ পর্যন্ত সব ম্যাচেই অবদান রাখছেন বাংলাদেশের দুই সংস্করণের অধিনায়ক।
১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৫ রানে দলের ৩ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন সাকিব। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে গড়ে তুলেন ৫৯ রানের জুটি। পীযুষ চাওলার বলে বোল্ড হয়ে সাকিব ফিরলেও ৪৪ বলে ৫০ করে দলকে জেতার কাছে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে বাকিটা সেরেছেন ইউসুফ পাঠান।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টস জিতে আগে বোলিং নেওয়ার পুরো ফায়দা তুলতে পেরেছেন মূলত সাকিব আর ভুবেনশ্বরের বোলিংয়ে। কলকাতার বিপদজনক ব্যাটসম্যান ক্রিস লিন ও ব্যাট হাতেও পটু হয়ে উঠা সুনিল নারিনের উইকেট নেন সাকিব।
প্রথম দুই ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রণ রেখে মাত্র ৭ রান দেন সাকিব। তিন নম্বর ওভারে এসে পান সাফল্য, তুলে নেন নারিনের উইকেট।
এক প্রান্তে উইকেট পতনের মাঝেও রান বাড়াচ্ছিলেন লিন, দেখাচ্ছিলেন বড় ইনিংসের আভাস। নিজের শেষ ওভারে ৩৪ বলে ৪৯ করা লিনকে দারুণ দক্ষতায় কট এন্ড বোল্ড বানান তিনি। তার বলে ব্যাকফুটে পুশ করতে গিয়েছিলেন লিন। বা দিকে লাফিয়ে ক্ষিপ্র সাকিব ক্যাচ জমান এক হাতে। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে ২১ রানে ২ উইকেট সাকিবের। যাতে ১১টি ডট বল।
সাকিবের মুন্সিয়ানার দিনে তেতে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ডানহাতি পেসার ৪ ওভার বল করে ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। রশিদ খান এদিন কিছুটা খরুচে হলেও এই দুজনের ঝলকে কলকাতা আটকে যায় ১৩৮ রানে।
Comments