প্রথম রোহিঙ্গা পরিবারের প্রত্যাবাসনের কথা জানালো মিয়ানমার সরকার

মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে প্রথম পরিবারকে প্রত্যাবাসিত করা হয়েছে। যদিও জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।
first rohingya family
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর ২০১৭ সালের আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে নতুন করে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে থেকে পাঁচ সদস্যের এই পরিবারকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয় বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। ছবি: এএফপি/ মিয়ানমার নিউজ এজেন্সি

মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে প্রথম পরিবারকে প্রত্যাবাসিত করা হয়েছে। যদিও জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।

বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার গত জানুয়ারি মাসে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বললেও প্রস্তুতির অভাবে বারবার তা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। এ জন্যে তারা এক অপরকে দায়ী করে।

গতকাল (১৪ এপ্রিল) মিয়ানমার সরকারের তথ্য কমিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এই বার্তায় জানানো হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি পরিবার মিয়ানমারে ফিরে এসেছে।

বার্তায় বলা হয়, “পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাখাইন রাজ্যের তাওংপিওলেতুই শহরে প্রত্যাবাসন শিবিরে ফিরে আসে।”

বার্তার পাশাপাশি পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় একজন পুরুষ, দুজন নারী, একজন কিশোরী মেয়ে ও এক ছোট ছেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ‘জাতীয় পরিচয়পত্র’ গ্রহণ করছে।

এতে আরও বলা হয়, এই পরিবার মংডু শহরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘অস্থায়ীভাবে’ বসবাস করবে। তবে পোস্টটিতে এই প্রত্যাবাসিত পরিবারকে নিয়ে সরকারের কোন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দের মতে, পুনর্বাসিত রোহিঙ্গাদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে তাতে তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়নি। তারা তাদের পূর্ণ অধিকার দাবি করেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী নির্যাতন চালালে নতুন করে এই শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘের মতে রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে পড়ে। কিন্তু মিয়ানমার তা অস্বীকার করে। তারা বলে, এই অভিযান শুধুমাত্র ‘রোহিঙ্গা জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে পরিচালিত।

গতকাল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এক বার্তায় জানায়, “শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ফিরে আসার পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago