নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হত্যা বন্ধে কার্যকর কিছু করেনি বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্র

নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ খুব সামান্যই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ খুব সামান্যই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সালিভান এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের নিপীড়নেরও নিন্দা জানান। এর জন্য দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা না পাওয়ায় অনেকেই সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করেন না বা অভিযোগ জানান না। বিচারহীনতার কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করেও পার পেয়ে গেছে।

বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ওপর বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ রয়েছে।

এতে বলা হয়, যেসব ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি বাহিনীর দ্বারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, বেআইনি আটক ও গুম করে দেওয়া। বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) কাজের স্বাধীনতা খর্ব করার মাধ্যমেও গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে।

এছাড়াও ওই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণের স্বল্প স্বাধীনতা, দুর্নীতি, সহিংস পরিস্থিতি ছিল। সেই সাথে ধর্ম-বর্ণ-জেন্ডার-আদিবাসী-উপজাতি-লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বৈষম্য ঘটেছে। এর একাংশের জন্য দায়বদ্ধতার অভাবকেও দায়ী করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানো হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই। এই সংকট সমাধানে আমরা আমাদের সহযোগীদের সাথে কাজ করছি।”

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে গত কয়েক মাসে ৬৭০,০০০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। দেশ ছাড়েনি এরকম আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা সেখানে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago