সানরাইজার্সের জয়ে উজ্জ্বল সাকিব
দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে রাখলেন কার্যকর অবদান। পরে আঁটসাঁটও বল করে নিলেন দুই উইকেট। সাকিব আল হাসানের ব্যাটে-বলে ভূমিকা বিফলে যায়নি। অল্প রান করেও বোলারদের কীর্তিতে আবারও জিতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
কিংস এলিভেন পাঞ্জাব তাদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্সকে উড়িয়ে দিয়েছিল। ফিরতে ম্যাচে নিজেদের মাঠে ১৩ রানে জিতে শোধ তুলেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল। আগে ব্যাট করে মাত্র অঙ্কিত রাজপুতের তোপে মাত্র ১৩২ রান জড়ো করেছিল সানরাইজার্স। সাকিব, রশিদদের জ্বলে উঠার দিনে ওই রান টপকাতে পারেনি পাঞ্জাব। শেষ ওভারে অলআউট হয়ে তাদের ইনিংস থেমেছে ১১৯ রানে। এই ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে আইপিএলে নিজের ৫০ উইকেটও পূর্ণ করেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল পাঞ্জাব। মাত্র ২৭ রানে সানরাইজার্সের ৩ উইকেট ফেলে পাঞ্জাবকে দারুণ শুরু এনে দেন মিডিয়াম পেসার রাজপুত। তখন ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব। আউট ভেবে ফেরতও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওভারস্টেপে নো বলে বেঁচে যান তিনি। জীবন পেয়ে খেলতে পারতেন বড় ইনিংস। তবে মন্থর পিচে মাঝারি ইনিংসেও রেখেছেন অবদান। সাকিবের ২৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস থেমেছে আফগান মুজিবুর রহমানকে পেটাতে গিয়ে।
সাকিবদের ইনিংস মূলত টেনেছেন মানিষ পান্ডে। ৫১ বলে ৫৪ রান করে তিনি দলকে নিয়ে যান কিছুটা লড়াইয়ের অবস্থায়। পাঞ্জাবের রাজপুত ৪ ওভার বল করে ১৪ রানে নেন ৫ উইকেট। এটিই এখন পর্যন্ত এই আসরের সেরা বোলিং ফিগার।
১৩৩ রানের মামুলি লক্ষ্যে দারুণ শুরু পায় পাঞ্জাব। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর ক্রিস গেইল পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। অষ্টম ওভারে গিয়ে ভাঙ্গে তাদের ৫৫ রানের জুটি। রশিদ খানের গুগলিতে ভড়কে বোল্ড হয়ে ফেরত যান রাহুল। খানিক পর বিশাল থাম্পির বল আকাশে তোলে ফেরত যান ২৩ রান করা গেইলও।
এরপরই যেন মড়ক লাগে পাঞ্জাবের ইনিংসে। মৈনাক আগারওয়ালকে নিজের ৫০তম আইপিএল উইকেট বানান সাকিব। সাকিবের আগে ৪৪ জন বোলার আইপিএলে ৫০ উইকেট পেয়েছেন। ৫০ উইকেট নেওয়ায় তিনি পঞ্চম বিদেশি স্পিনার। নিজের ছন্দে থাকার দিনে সাকিব ৩ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
ব্যাটিং ধসে পড়া পাঞ্জাবের টুটি চেপে ধরেন রশিদ। তার বলে হাঁসফাঁস করে মরেছেন পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান ৩ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভারে স্বদেশী মুজিবের হাতে দুই চার না খেলে আরও আকর্ষণীয় হত রশিদের ফিগার।
খেলা শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায় শেষ দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায়। কিন্তু ১৫ রানের সমীকরণ মেলানোর তাগদ ছিল না তাদের। ৪ বল আগেই থাম্পির বলে স্টাম্প উপড়ে যায় রাজপুতের।
৬ ম্যাচের চারটা জিতে সানরাইজার্স উঠে এসেছে টেবিলের তিন নম্বরে। ৫ জয়ে দুইয়ে রয়ে গেছে পাঞ্জাব।
Comments