মাশরাফির টেস্ট ফিটনেস নিয়ে সংশয় বোর্ড সভাপতির
সম্প্রতি বিসিএলের ম্যাচ খেলার সময় মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়েছেন অন্তত আরও দুবছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে তার। সেজন্য নিজেকে আরও তৈরি করার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের টেস্ট ফিটনেস নিয়ে আছেন সংশয়ে।
শুক্রবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ভলিবলের ফাইনাল শেষে নাজমুল বলেন, ‘জানি না, সে টেস্টে ফিট কি না। কোথায় কোন দেশে টেস্ট খেলবে সে? দেশের বাইরে? তাহলে প্রতিদিন ওকে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ওভার বোলিং করতে হবে।’
‘ও বলছে, পারবে? তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। ফিজিও যদি অনুমতি দেয় আর সে যদি বলে পারে তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানাব। তবে আমাদের এ নিয়ে ধারণা নেই। যদি মনে করেন আমাদের দেশে খেলা, তাকে দিয়ে মাত্র ২ বা ৩ ওভার করাব, সেটা ভিন্ন বিষয়।’
এমনকি টেস্টে মাশরাফির ভূমিকা কি হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি প্রধান। তবে ফিট মাশরাফিকে সব ফরম্যাটেই খেলানোর পক্ষে মত তার, ‘সে কী হিসেবে আসতে চায়, ব্যাটসম্যান না বোলার? এটা বড় প্রশ্ন। আমি মনে করি সে যদি ফিট থাকে যেকোনো সংস্করণেই তার খেলা উচিত। তার মতো খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে খেলাটা তার এবং ফিজিওর ওপর নির্ভর করছে।’
মাশরাফির নিজেরও অবশ্য এখনি টেস্টে ফেরার চিন্তা নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মৌসুমে তিনটি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলার পেছনে ওয়ানডে প্রস্তুতিই মুখ্য ছিল বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।
গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন মাশরাফি। গুঞ্জন আছে সেসময় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথা তাকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল বোর্ড। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর মাশরাফিকে টি-টোয়েন্টিতে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি। আবারও মাশরাফির চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন বোর্ড প্রধান, ‘আমাদের ধারণা সে যদি ওয়ানডে খেলতে পারে টি-টোয়েন্টিও খেলা উচিত। ১০ ওভার যদি করতে পারে, ৪ ওভারও তার করা উচিত। এ কারণে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে)। তখন সে আগ্রহ দেখায়নি। আমরা ধরে নিচ্ছি তার আগ্রহ নেই (টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে)।’
Comments