প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘ওপেন বুক এক্সাম’-এর পক্ষে মত দিলেন ভারতের শিক্ষাবিদরা

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা কমাতে ওপেন বুক এক্সামের পক্ষে মত দিয়েছেন পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত ভারতের চার সদস্যের একটি কমিটি। এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তারা বলেছে, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকৌশলের মত বিষয়গুলো শুধুমাত্র মুখস্থ না করে হৃদয়ঙ্গম করতে উৎসাহী হবে। সেই সাথে তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতাও যাচাই করা যাবে।
ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারে সুপারিশ করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই কমিটি করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসে। সম্প্রতি তারা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) এর কাছে সুপারিশ পেশ করেছে। দেশটিতে প্রকৌশল শিক্ষার যাবতীয় দিক দেখভালের জন্য এই সংস্থাটির ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়, কমিটির সুপারিশগুলো এখন এআইসিটিই ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় যাচাই করে দেখছে। সুপারিশগুলো গৃহীত হলে এআইসিটিই নিয়ন্ত্রিত সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পরীক্ষা পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।
ওপেন বুক এক্সাম চালু হলে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পাঠ্য বই, ক্লাস নোট বা যে কোনো ধরনের রিসোর্স ম্যাটেরিয়াল নিয়ে যেতে পারেন। এসবের সহায়তা নিয়েই তারা উত্তর লিখার স্বাধীনতা পাবে। তথ্য, উপাত্ত মুখস্থ করার বাইরে একটি বিষয় পরীক্ষার্থীরা কতটা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে সেটি যাচাই করাই এই পরীক্ষা পদ্ধতির লক্ষ্য।
পরীক্ষা পদ্ধতিতে এই সংস্কার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষাবিদরা। তবে এটা বাস্তবায়ন অত্যন্ত সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তাদের মত। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-বোম্বের অধ্যাপক প্রদীপ্তা ব্যানার্জির মনে করেন, বিচ্ছিন্নভাবে শুধু পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা ঠিক হবে না। পাঠদান পদ্ধতির পরিবর্তনের সাথেই এটা করতে হবে। এই দুটো যুগপৎভাবে না হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
Comments