আমরা যে উন্নতির ধারায় আছি এটা তারই ফল: মুশফিক

ওয়ানডেতে ধারাবাহিক বাংলাদেশ ভুগছিল টেস্টে। বছর তিনেক ধরে ঘরে মাঠে সাদা পোশাকেও মিলছে সাফল্য। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের আটে উঠা তারই ফল বলে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
Mushfiqur Rahim
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডেতে ধারাবাহিক বাংলাদেশ ভুগছিল টেস্টে। বছর তিনেক ধরে ঘরে মাঠে সাদা পোশাকেও মিলছে সাফল্য। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের আটে উঠা তারই ফল বলে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

মঙ্গলবার আইসিসি প্রকাশ করে নতুন টেস্ট র‍্যাঙ্কিং। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে আটে উঠে আসে সাকিব আল হাসানের দল। হালনাগাদ হওয়া নতুন র্যাজঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৭৫, ৬৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেছে এক সময়ের প্রতাপশালী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মে দিবসের ছুটির মধ্যে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ট্রেনিং করতে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেখান থেকে কল্যাণপুরে একটি বৃদ্ধাশ্রমে চ্যারিটি অনুষ্ঠানে কথা বলেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে আজকের সুখবরের পেছনে আছে আগের চার-পাঁচ বছরের পরিশ্রম, ‘আমাদের একটা গ্রাফ থাকে উপরের দিকে যাওয়ার। আগে দেখেছেন ওয়ানডেতে খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে আশানুরূপ প্রগ্রেস না হলেও শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো গেছে। টেস্টে যে আমরা উন্নতি করছি, শেষ চার-পাঁচ বছর যে ভালো খেলছি র‍্যাঙ্কিং এটাই তোলে ধরে।

২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ১০ নম্বর দল ছিল বাংলাদেশ। এক সময়ের শক্তিশালী দল জিম্বাবুয়ের পড়তি আর বাংলাদেশের উন্নতিতে বদলে যায় চিত্র। নয় নম্বরেই যেন স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যায় বাংলাদেশের। পড়তির দিকে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গিয়েও টলানো যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানরা নেমে গেছে নিচে। এই অবস্থান ধরে রাখায় চ্যালেঞ্জ দেখছেন মুশফিক, এরচেয়ে উপরে যাওয়া দেখছেন আরও কঠিন, ‘এক সিরিজ ভালো খেললে তো আর র্যা ঙ্কিং উন্নতি হয় না। সেদিক থেকে বলব কঠোর পরিশ্রম করলে উন্নতি করাট সহজ হয়। কিন্তু এখন অবস্থান ধরে রাখা আরও কঠিন, এবং এর থেকে উপরে যাওয়া আরও কঠিন হবে সামনে। অবশ্য আমাদের দলের যে খেলোয়াড়রা আছেন তাদের সামর্থ্য আছে এগিয়ে যাওয়ার।’

বাংলাদেশের আটে উঠায় বড় অবদান আসলে মুশফিকের। এক সিরিজ আগে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন তিনি, এর আগে গত বছর চারেক তার হাত ধরেই এসেছে বড় কিছু সাফল্য। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বেই হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলকে। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দেশের শততম টেস্টটাও জিতেছিল বাংলাদেশ। সুখবর পাওয়ার দিনে পেছনে তাকিয়ে আনন্দের স্মৃতি রোমন্থন করলেন মুশফিক,   ‘অবশ্যই এক দিক দিয়ে ভালো লাগে। কারণ আমি যেসময় অধিনায়ক ছিলাম তখন বড় জয় ছিল। স্মৃতি তো অবশ্যই থাকে। ভালো লাগা কাজ করে।’

অধিনায়ক হিসেবে কৃতিত্বের বেশিটা নিতে রাজি হলেও মুশফিক বাহবা দিতে চাইলেন দলের সবাইকে, ‘তারপরও আমি মনে করি অধিনায়ক বড় অংশ হলেও খেলোয়াড়দের সাফল্য না থাকলে কখনই এটা সম্ভব না। আমার সময় ওই কয়েকটা সিরিজ যারা খেলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন। শুধু প্লেয়াররা না কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকেই কৃতিত্বটা দিতে চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Mozammel, Shyamal, Shahriar on 7-day remand in murder cases

Dhaka Additional Chief Metropolitan Magistrate Md Sanaullah passed the orders after they were produced before the court in the morning with a 10-day remand prayer for them

1h ago