সামরিক ব্যয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার ওপরে সৌদি আরব

us army
ছবি: ইউএস আর্মির সৌজন্যে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া ‘ঠাণ্ডা লড়াই’-এর পর ২০১৭ সালে সারা দুনিয়ায় সামরিক ব্যয় সর্ব্বোচ অবস্থানে এসেছে। এই ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে তালিকায় ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরে রয়েছে চীন। রাশিয়ার চেয়েও সামরিকখাতে বেশি ব্যয় করছে সৌদি আরব।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর এক প্রতিবেদনে আজ (২ মে) জানানো হয়, ২০১৭ সালে বিশ্বে সামরিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০১৬ সাল থেকে এক দশমিক এক শতাংশ বেশি।

সামরিক ব্যয়ের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দেশটির সামরিক ব্যয় ৬১০ বিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ। এমনকি, তালিকার প্রথম দশটি দেশের মধ্যে শেষের সাতটি দেশের মোট সামরিক ব্যয়ের চেয়েও বেশি।

চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামরিক ব্যয়ের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। গত বছর দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ২২৮ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের দ্বিতীয় পরাশক্তি হিসেবে গণ্য করা রাশিয়াকে সরিয়ে সামরিক ব্যয়ে তৃতীয় অবস্থানে এসেছে সৌদি আরব। গত বছর সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় ছিলো ৬৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর রাশিয়ার ব্যয় ৬৬.৩ বিলিয়ন ডলার।

২০১৭ সালে বিশ্বের সামরিক ব্যয় এক শতাংশ বাড়লেও, একই সময়ে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় কমেছে শতকরা ২০ ভাগ। ১৯৯৮ সালের পর এমন ঘটনা এটিই প্রথম।

সামরিক ব্যয়ের দিক দিয়ে ফ্রান্সকে সরিয়ে পঞ্চম অবস্থানে এসেছে ভারত। এ ক্ষেত্রে ভারতের ব্যয় ৬৪ বিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সের ব্যয় প্রায় ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

দশটি বেশি ব্যয়ের দেশের তালিকায় বাকি দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য (৪৭.২ বিলিয়ন ডলার), জাপান (৪৫.৪ বিলিয়ন ডলার), জার্মানি (৪৪.৩ বিলিয়ন ডলার) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (৩৯.২ বিলিয়ন ডলার)।

 



গভীর উদ্বেগের বিষয়

এসআইপিআরআই-এর মতে, ইউরোপীয় সামরিক জোট ন্যাটোর ২৯ সদস্য ২০১৭ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ৯০০ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোরও সামরিক ব্যয় বেড়েছে।

তবে এই ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা, অস্ত্র ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা এবং বিভিন্ন অভিযানের খরচ।

সংস্থাটির প্রধান জান ইলিয়াসন এক বার্তায় বলেন, ‘সামরিক খাতে বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি গভীর উদ্বেগের বিষয়।’

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

5h ago